Shyamapada Mondal

‘ঘুম পাড়ানো’র হুমকি দিয়ে বিতর্কে শ্যামাপদ

এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল, সিপিএম। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:০০
Share:

পথে: মিছিলে বিজেপি জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

ফের এক বিজেপি নেতার মুখে ‘গুলি’ করে মারার হুঁশিয়ারি। এ বার বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি-র বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। শনিবার সাঁইথিয়ায় এক সভায় দলের কর্মীদের আক্রমণ করলে প্রয়োজনে অভিযুক্তদের ‘গুলি করে চিরতরে ঘুম পাড়ানোর’ নিদান দেন শ্যামাপদ। শুধু তাই নয়, দল তাঁদের পাশে কবে বলেও জানিয়েছেন জেলা সভাপতি। এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল, সিপিএম।

Advertisement

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থনে জেলায় জেলায় অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করছে বিজেপি। এ দিন সাঁইথিয়ায় সেই অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করেছিল দল। শহরের ইউনিয়ন বোর্ড মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিলে পা মেলান রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, শ্যামাপদ মণ্ডল, প্রাক্তন জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, দুধকুমার মণ্ডল, মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অনুরাধা ঘোষ।

অভিনন্দন যাত্রার শেষ হয় মুরাডিহি কলোনিতে এবং সেখানে আয়োজন করা হয় পথসভার। সেই সভাতেই বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলি করে মারার কথা বলেন শ্যামাপদ। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ফেসবুক বা টিভির পর্দায় আপনারা দেখে থাকবেন, কোনও গ্রামে খ্যাপা হাতি চলে এসে বাড়িঘর ভাঙচুর করলে বন দফতরের কর্মীরা এসে প্রথমেই ঘুমপাড়ানি গুলি চালায়। যাতে হাতিগুলো ঘুমিয়ে পড়ে। আর তাতে যদি কাজ না হয়, তাহলে গুলি করে মেরে ফেলে। আপনারাও সামনের নির্বাচনে ঠিক সেটাই করবেন!’’ এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ‘‘সামনের নির্বাচনে যদি তৃণমূলের নেতারা গুন্ডামি করার চেষ্টা করে, তাহলে প্রথমে ওই হাতি ঘুমোনোর ওষুধ দেবেন। যদি তাতেও কোনও কাজ না হয়, হলে চিরকালের মতো ঘুম পাড়িয়ে দেবেন। আপনাদের কোনও চিন্তা নেই। পরে যা হবে, তা আমরা দেখে নেব।’’

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘তৃণমূল হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। এটা উত্তরপ্রদেশের যোগী রাজ্যের ভাষা। এটাতেই স্পষ্ট, বিজেপি ঠিক কী চায়। এর তীব্র নিন্দা করছি। তৃণমূল উন্নয়ন ও শান্তির সঙ্গে থাকতে চায়। হিংসার চেষ্টা হলে সব দিক থেকে রুখব।’’ তৃণমূলের জেলা সম্পাদক দেবাশিস সাহার প্রতিক্রিয়া, ‘‘সাঁইথিয়ায় বিজেপি-র পায়ের তলায় মাটিই নেই। যে কয়েক জন বিজেপি করত, তারা সকলেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। এখানে বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। সেই হতাশার কারণেই উনি এই সব বলছেন।’’

সিপিএমের জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদার মন্তব্য, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূল দুটো দলেরই একই কালচার। তৃণমূল আট বছর ধরে গুলিগোলা করে জনসমর্থন অনেক খুইয়েছে। গোটা ভারতবর্ষে বিজেপি-র জনসমর্থনও দ্রুত কমছে। এখন এই সব কথা বলে বাজার গরম করার চেষ্টা। এটা মানুষ ভালভাবে নেবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন