পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতিতে যাতে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও উস্কানিমূলক বার্তা না দেন, সে জন্য সম্প্রতি পুলিশ-প্রশাসনের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে। তার পরেও গোর্খাল্যান্ড সংক্রান্ত একটি ভুয়ো খবর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করে দিলেন বিজেপির দার্জিলিং জেলার সহ-সভাপতি নন্দন দাস। শুক্রবার এই ঘটনায় যথেষ্ট বিব্রত জেলা বিজেপি ওই নেতাকে শো কজ করেছে। যদিও নন্দনবাবুর দাবি, তিনি দল-বিরোধী কিছু করেননি।
এ দিন সকাল থেকে শিলিগুড়িতে একটি বার্তা ঘুরতে থাকে। সেখানে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গঠন নিয়ে কিছু মন্তব্য করা হয়। খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায়, নন্দনবাবু ওই বার্তাটি এক জনকে হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করেছেন। এই নিয়ে বিবৃত হয়ে পড়ে জেলা বিজেপি। তার পরেই নন্দনবাবুকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানো হয়।
নন্দন জানান, তিনি চিঠি পেয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমায় এক জন মেসেজটি পাঠায়। দেখে মনে হয়, বিজেপিকে হেয় করতেই এটি শেয়ার করা হচ্ছে। তাই দলের গ্রুপে দিয়ে সবার নজরে আনার চেষ্টা করি।’’ কিন্তু সেটা করতে গিয়ে অন্য এক জনের কাছেও ব্যক্তিগত ভাবে মেসেজটি চলে যায়। নন্দনবাবু বলেন, ‘‘ওটা ভুলবশত হয়েছে।’’
ঘটনাটি শোনার পরে বিজেপির এক যুব নেতা জানান, পাহাড় নিয়ে তাঁদের দলের অবস্থান স্পষ্ট। তাঁরা পাহাড়বাসীর আবেগকে মর্যাদা দিলেও বাংলা ভাগের পক্ষপাতী নন। সেটা দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বারবারই বলেছেন। ওই নেতার মত, এমন বিতর্কিত খবর পেলে তার সত্যাসত্য খতিয়ে দেখার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে দলের জেলা সভাপতি কিংবা কোনও পদাধিকারীকে আলাদা করে পাঠানো ভাল।
এই কথা মেনে নেন নন্দনবাবু। তিনি বলেন, ‘‘যে আমাকে মেসেজটি শেয়ার করেছে, আমি তার নামও দলকে জানাব। আর ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও ভুয়ো খবর গ্রুপে পোস্ট না করে ব্যক্তিগত ভাবে দলীয় নেতৃত্বকে জানানোরই চেষ্টা করব।’’