রাজু সরকার। ফাইল চিত্র।
আকস্মিক মৃত্যু হল বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি রাজু সরকারের। বিজেপির হেস্টিংস কার্যালয় থেকে সোমবার সন্ধ্যায় বেরনোর সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালে এবং তার পরে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিন দলের হেস্টিংস কার্যালয়ে এক যুব নেতার সঙ্গে রাজুর বচসা এবং হাতাহাতি হয়। তার পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য রাজুর সঙ্গে কারও কোনও বচসা বা হাতাহাতির কথা অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, রাজুর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
বিজেপি সূত্রের খবর, রাজু এ দিন দলের হেস্টিংস কার্যালয়ে যুব মোর্চার কলকাতা জ়োনের বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে দলেরই এক জনের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। বৈঠকের পরে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংহকে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য হেস্টিংস কার্যালয় থেকে বেরোন রাজু। তখনই শরীর খারাপ লাগায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘জলজ্যান্ত যুবক হঠাৎ মারা গেলেন। দুর্ভাগ্যজনক। রবিবার যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির বৈঠকে এবং আজও একটি বৈঠকে তিনি ছিলেন। আজ বৈঠক শেষ হওয়ার পরে সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা ছিলেন। তার পরে তাঁরা চলে যান। তার পরেও কয়েক জন ছিলেন। রাজু চলে গিয়ে আবার ফিরে আসেন। কোনও কথা কাটাকাটি বা মারামারির কথা আমার জানা নেই।’’ রাজুর আগে থেকেই হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ছিল বলে বিজেপি নেতারা জানাচ্ছেন।
তৃণমূল অবশ্য রাজুর মৃত্যুতে বিজেপির ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’-এর ছায়া দেখতে পাচ্ছে। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তবে রাজু যে বিজেপিতে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন, সেই সংক্রান্ত মেসেজ আমার কাছে আছে। তাই বিজেপি কার্যালয়ে এ দিন ঠিক কী ঘটেছিল, সেটা জানা দরকার।’’