Shankudev Panda

Shankudev Panda: বিদ্রোহে সামিল শঙ্কুদেব, ছাড়লেন দলের বিভিন্ন হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ, ফের অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির 

সম্প্রতি পাঁচ মতুয়া বিধায়ক, পরে বাঁকুড়ার বিধায়ক এবং সর্বশেষে খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় সাংগঠনিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:৫১
Share:

রাজ্য বিজেপি-তে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ পর্ব থেমেও থামছে না। এত দিন এই ‘বিদ্রোহ’ মূলত দলের মূল সংগঠনেই ছিল। এ বার তা ছড়িয়ে পড়ছে শাখা সংগঠনে। বিজেপি সূত্রে খবর, যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডা শনিবার মধ্যরাতে একাধিক সাংগঠনিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। কেন শঙ্কুদেব এমন করলেন, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। তবে যুব মোর্চার নতুন রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ রবিবার জানান, তিনি অন্যান্য ব্যস্ততার জন্য সকাল থেকে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ দেখে উঠতে পারেননি। ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘আমি শুনলাম। বিষয়টা খতিয়ে দেখে তবেই জানাতে পারব।’’

সদ্যই নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই সঙ্গে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর থেকে যুব মোর্চার দায়িত্ব নিয়ে ইন্দ্রনীলকে দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে যুব মোর্চার নতুন কমিটি গঠন করতে হবে ইন্দ্রনীলকে। যত দিন তা না হচ্ছে, তত দিন পুরনো কমিটিই বজায় রয়েছে। তবে সৌমিত্র ইতিমধ্যেই রাজ্যের সহ-সভাপতি হয়েছেন। যদিও বিজেপি সূত্রে খবর, এর পরে যুব মোর্চার সব সাংগঠনিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে রয়ে গিয়েছেন সৌমিত্র। পুরনোদের গ্রুপ ছাড়তে না বলার জন্য সৌমিত্ররা রয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এরই মধ্যে শঙ্কুদেব কেন গ্রুপ ছাড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে কি তিনি দলত্যাগের কথা ভাবছেন? এমন প্রশ্নও উঠেছে গেরুয়া শিবিরে।

Advertisement

সম্প্রতি প্রথমে পাঁচ মতুয়া বিধায়ক, পরে বাঁকুড়ার বিধায়ক এবং সর্বশেষে খড়্গপুর সদরের অভিনেতা-বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বিজেপি-র সাংগঠনিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দেন। তারই মধ্যে একই পথে হেঁটে দলের অস্বস্তি বাড়ান বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এ সব নিয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের অস্বস্তির মধ্যেই নতুন করে কপালে চিন্তার ভাঁজ তৈরি করলেন শঙ্কুদেব।

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন শঙ্কুদেব। বলিউড তারকা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি শঙ্কুদেব একই দিনে বিজেপি-তে আসেন। দিল্লিতে সদর দফতরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পরে কোনও নির্বাচনে প্রার্থী না হলেও বরাবর সাংগঠনিক কাজে দেখা গিয়েছে শঙ্কুদেবকে। তবে সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য দফতরে তাঁর দেখাই মিলছিল না। রবিবার একাধিকবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন