Suvendu Adhikari

আইনের ভয়েই তৃণমূলের পতাকা নেই? দলবদল নিয়ে শুভেন্দু প্রশ্ন তুলতেই কুণাল দেখালেন দুই অধিকারীকে

নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পরপর তিনটি টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দু’টি টুইটে তিনি নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৫৩
Share:

আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়কের দলবদল নিয়ে টুইট যুদ্ধ শুভেন্দু অধিকারী ও কুণাল ঘোষের। ফাইল চিত্র।

একে একে দল ছেড়েছিলেন ৫ জন বিজেপি বিধায়ক। রবিবার ষষ্ঠ বিধায়ক হিসেবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সুমন কাঞ্জিলাল। তারপরেই নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পরপর তিনটি টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দু’টি টুইটে তিনি নিশানা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে কোনও ক্ষেত্রেই অভিষেকের নাম উল্লেখ করেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। প্রথম টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনি কি ভারতীয় সংবিধানের দশম তফসিল (দলত্যাগ বিরোধী আইন) নিয়ে ভয় পাচ্ছেন? তৃণমূলের পতাকা তুলে দিচ্ছেন না? কারণ, বিধানসভার অভ্যন্তরে যেমন মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলের মালিক তাঁকে বিজেপি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন, সুমন কাঞ্জিলালও দাবি করবেন যে তিনি বিজেপি বিধায়ক দলের সদস্য।’’ রবিবার বিজেপি বিধায়ক সুমনকে উত্তরীয় পরিয়ে দলে যোগদান করান অভিষেক।

Advertisement

দ্বিতীয় টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘ভাইপো, আমি আপনাকে সাহস দিচ্ছি, সুমন কাঞ্জিলালকে প্রকাশ্যে এবং বিধানসভার ভিতরে স্বীকার করতে বলুন যে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন এবং বিজেপি ছেড়েছেন। আসুন স্পিকারকে বিষয়টিতে জড়িয়ে নিই। সুমন কাঞ্জিলাল কেন আলিপুরদুয়ারবাসীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তার জবাব দিতে হবে। বিজেপি পরিষদীয় দল এই ধরনের চমক দ্বারা প্রভাবিত হয় না।’’

টুইট করেই বিরোধী দলনেতার আক্রমণের জবাব দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি আবার দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে পাল্টা অধিকারী পরিবারকেই খোঁচা দিয়েছেন। কুণাল বলেছেন, ‘‘জনসাধারণের উদ্দেশ্যে টুইট করার আগে, দয়া করে প্রথমে নিজের বাড়িতে যান এবং আপনার বাবা এবং ভাইকে দলত্যাগ বিরোধী আইনের এই তত্ত্বটি বলুন। এটাও স্বীকার করুন যে বিজেপি বিধায়কদের বিজেপি এবং বিরোধী দলনেতার উপর আস্থা নেই। এটা সুবিধাবাদী বিশ্বাসঘাতক শুভেন্দু অধিকারীরও ব্যর্থতা।’’

Advertisement

উল্লেখ্য, শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ। কিন্তু দু’জনের সঙ্গে তৃণমূলের আর কোনও সম্পর্ক নেই। দিব্যেন্দু যদিও প্রকাশ্যে তৃণমূল ছাড়ার ঘোষণা করেননি। তাঁকে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের মঞ্চেও দেখা যায়নি। কিন্তু ২০২১ সালের ১ এপ্রিল এগরায় বিজেপির প্রচার সভায় অমিত শাহের মঞ্চে হাজির হতে দেখা গিয়েছিল কাঁথির তৃণমূল সাংসদকে। এর পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে শিশিরের সাংসদপদ খারিজের আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকটি শুনানি হলেও, অভিযোগের এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।

নিজের তৃতীয় টুইটটি আলিপুরদুয়ারের মানুষ ও বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁদের উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, ‘‘আমি শীঘ্রই আলিপুরদুয়ারে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে দেখা করব, যাঁরা সুমন কাঞ্জিলাল দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই আরও তীব্র করতে এবং গণতান্ত্রিক ভাবে ক্ষমতা থেকে তাদের অপসারণ করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন