—ফাইল চিত্র।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের মালদহের সভা অনিশ্চিত ধরে নিয়েই বিকল্প ভাবনা শুরু করে দিল বিজেপি নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, ২০ জানুয়ারির সভা হচ্ছেই। তবে অসুস্থতার কারণে অমিত না আসতে পারলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে এনে মুখরক্ষা করা হতে পারে।
বুধবার অমিত নিজেই টুইট করে সোয়াইন ফ্লু’য়ে আক্রান্ত হওয়ার খবর দেন। তিনি দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ওই খবর পাওয়ার পরই মালদহের তাঁর সভা মোটামুটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে বৃহস্পতিবারও রাজ্য দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, অমিত আসতে পারবেন কি না, তা আগামিকাল, শনিবার নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে। কিন্তু এর পাশাপাশি বিকল্প নেতার ভাবনাও ভেবে রাখছেন রাজ্য নেতারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিতের বিকল্প হিসেবে এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। তার মধ্যে আদিত্যনাথ, রাজনাথ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের মতো নেতাদের দিয়ে সভা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বিজেপির এক নেতা বলেন, “হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীদের বার্তাও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সভা না হলে লোকসভা ভোটের আগে কর্মীদের উপরে প্রভাব পড়বে। তাই ওইদিনই মালদহ ও দুই দিনাজপুরের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জনসভা হবেই।” বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন বলেন, “আমাদের সভা ২০ জানুয়ারি হবেই। কেন্দ্রীয় অনেক নেতা ওইদিনের সভায় হাজির থাকবেন। আমাদের প্রস্তুতিও জোরকদমে চলছে।”
এ দিন সকালেই বিজেপির রাজ্য নেতারা পুরাতন মালদহের সাহাপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসের ধারে ফাঁকা জমিতে সভার জন্য জমি চিহ্নিত করেন। সেখানে শুরু হয়েছে মঞ্চ বাঁধার কাজও। বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, “হাতে মাত্র আর দু’দিন বাকি রয়েছে। তিন জেলার প্রায় আড়াই লক্ষ কর্মী সমর্থকদের জমায়েত হবে ধরে নিয়ে কাজ এগোচ্ছে।”
জেলার রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, দেশের উচ্চতম আদালতের রায়ে রথযাত্রা থমকে যাওয়ায় হতাশ বিজেপির নিচুতলার কর্মীরা। লোকসভার আগে কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে অমিতের সভাতেই শরণ নিয়েছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু অসুস্থতার কারণে অমিত অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় এখন কার্যত মাথায় হাত রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের। তাই রাজনাথ, আদিত্যনাথ বা নিদেনপক্ষে কৈলাসকে এনেও মুখরক্ষা করতে চাইছে রাজ্য বিজেপি।