শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা ঘিরে উত্তেজনা। শুভেন্দু সভাস্থলে পৌঁছোনোর আগেই রাস্তা থেকে বিজেপির মঞ্চ সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ। পদ্মশিবির জানায়, হাই কোর্টের অনুমতি নিয়েই সভার আয়োজন করেছে তারা। পুলিশের পাল্টা বক্তব্য ছিস, রাস্তা বন্ধ করে সভার মঞ্চ তৈরি হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এক সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপির নেতা-কর্মীদের বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই এবং অন্য পুলিশ আধিকারিকেরা।
পুলিশের তরফে মাইকিং করে রাস্তা থেকে মঞ্চ সরিয়ে নিতে বলা হয়। তবে ওই খানেই সভা করার বিষয়ে অনড় থাকেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যায় সভাস্থলে পৌঁছোন শুভেন্দু। মঞ্চে উঠেই পুলিশ এবং রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “পুলিশ-প্রশাসন দিনভর এই সভা বানচাল করার চেষ্টা করেছে। তৃণমূল আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না।” মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারীকেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু।
কোচবিহারে বিজেপির এই কর্মসূচি নাম ছিল ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’। সভা থেকে শুভেন্দু বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দেন। কী পরিবর্তন তিনি চাইছেন, তাও ব্যাখ্যা করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “পরিবর্তন চাই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফিরিয়ে এনে হাতে কাজ দেওয়ার জন্য। পরিবর্তন চাই নারীর সম্মান এবং কন্যা সুরক্ষার জন্য।” ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়েও রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর দাবি, এসআইআর হলে তৃণমূল শুধু হারবে না, তাদের জামানতও বাজেয়াপ্ত হবে। শুভেন্দু এ-ও দাবি করেন যে, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ বাংলাদেশি পালিয়ে গিয়েছে।