হাওড়া ব্রিজে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় আজ, শুক্রবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে দলের কর্মী-সমর্থকরা। শহরের বিভিন্ন জায়গাতেও প্রতিবাদ, অবরোধ করে বিজেপি।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে আক্রান্ত দিলীপ, মার খেলেন সঙ্গীরাও
রাহুল সিংহ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এ দিন হাজরা মোড়ে অবরোধ করে বিজেপি-র সমর্থকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। বিজেপির পার্টি অফিস থেকে একটি মিছিল এসে মহাত্মা গাঁধী রোডে শেষ হয়। মহাত্মা গাঁধী রোড কিছু ক্ষণের জন্য অবরোধ করে বিজেপি। অন্য দিকে, হাওড়ার গুলমোহর ময়দান থেকে একটি মিছিল হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত আসে। সেখানে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মীরা। দিলীপ ঘোষের উপর এই হামলার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন তাঁরা।
বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ এবং নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় এই হামলার তদন্ত দাবি করেছেন। পাশাপাশি, রাজ্যের কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়, কেন্দ্রের কোনও তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমেই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল রয়েছে। ফলে রাজ্যের কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে সেটা একপেশে হবে বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। লকেট জানিয়েছেন, দিল্লিতে যখন তৃণমূল সাংসদরা যাবেন তাঁদেরও কালো পতাকা দেখানো হবে।
আরও পড়ুন: দিলীপের উপর হামলার নিন্দা বিরোধীদের
বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি দল নিয়ে দার্জিলিঙে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁকে প্রথমে কালো পতাকা দেখানো হয়। তাঁর সভায় ঢুকে কয়েক জন স্থানীয় যুবক হামলা চালায় বলে অভিযোগ। থানায় যাওয়ার পথে দিলীপ ও তাঁর সঙ্গীদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পরই দিল্লি থেকে দার্জিলিঙের সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার দাবি, ‘‘গোর্খারা কখনওই নিরস্ত্র ব্যক্তিকে আঘাত করে না। আজ যারা এই কাজ করেছে, তারা আসলে তৃণমূলের লোক।’’ ওই দিন সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে দলের রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই হামলা। এই দুষ্কৃতীরা দিলীপ ঘোষ ও অন্য বিজেপি নেতাদের খুন করতে চেয়েছিল।’’ শুনে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষকে নিয়ে ব্লক সভাপতিরাও ভাবেন না, মুখ্যমন্ত্রী তো দূরের কথা। উনি জিরো থেকে হিরো হতে চাইছেন।’’