State news

মমতার ইস্তফা চেয়ে পথে বিজেপি, ঘেরাও স্বাস্থ্য ভবন

সোমবার করুণাময়ী থেকে বিজেপির ৫০০ জন কর্মী মিছিল করে স্বাস্থ্যভবনের সামনে পৌঁছন। সেখানেই কয়েক দফা দাবি-সহ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ১৮:০২
Share:

ফাইল চিত্র।

রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এই অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইস্তফা চেয়ে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি।

Advertisement

সোমবার করুণাময়ী থেকে বিজেপির ৫০০ জন কর্মী মিছিল করে স্বাস্থ্যভবনের সামনে পৌঁছন। সেখানেই কয়েক দফা দাবি-সহ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির তিন সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী এবং সঞ্জয় সিংহ।

বিজেপির এ দিনের এই কর্মসূচির কথা আগে থেকেই জানানো হয়েছিল পুলিশকে। স্বাস্থ্যভবনের কয়েকশো ফুট আগে তার জন্য পুলিশের ব্যরিকেড ছিল। কিন্তু সেই ব্যরিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে এগিয়ে যান। স্বাস্থ্যভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। গেটের সামনেই মশারি টাঙিয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে ভিতরে বসে পড়েন তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ডেঙ্গি ধরার যন্ত্র নেই পুর-ল্যাবে

তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার ডেঙ্গি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য দিচ্ছে না। সরকারি, বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলোকে চাপ দিচ্ছে রিপোর্টে ডেঙ্গি উল্লেখ না করতে। এমনকী চিকিৎসকেরাও রাজ্য সরকারের চাপে রয়েছেন। ফলে মোকাবিলা দূর অস্ত্‌, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারকে প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করে ডেঙ্গি মোকাবিলার উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যাতে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পান রোগীরা তার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বাইরের রাজ্য থেকে প্যাথলজিস্ট আনতে হবে। এমনকী দরকারে হাতুড়ে চিকিৎসকদেরও ডেঙ্গি সম্পর্কে একটা ন্যূনতম প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক। যাতে তাঁদের কাছে চিকিৎসার জন্য গেলে রোগীদের ভুল চিকিৎসার মাশুল না গুনতে হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে স্বাস্থ্যভবনের গেটের ভিতরে ঢুকিয়ে নেয় পুলিশ। তাতে বিক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ তাতে রাজি হলে বিক্ষোভ-অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement