মুকুল রায়।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কাছে আগামী বুধবার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগের চিঠি জমা দেবেন মুকুল রায়। পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী হবে তা আজ স্পষ্ট করতে চাননি তিনি। মুকুলের কথায়, ‘‘আশা করছি দেওয়ালির পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’’ রাজনৈতিক সূত্রের খবর, বিজেপির তরফে শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সামনেই দীপাবলি উৎসব। তার আগে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। যা হবে তার পরে।
আরও পড়ুন:বার্তা নেই বঙ্গে বর্ষা বিদায়ের
গত কাল অরুণ জেটলির বাড়িতে গিয়ে কথা বলেছেন মুকুল। আজ তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে। পরে বিজেপিতে মুকুলের যোগদান নিয়ে জানতে চাওয়া হলে কৈলাস বলেন, ‘‘যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন এবং উন্নয়ন চান, তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন।’’ আরও কয়েক জন নেতাও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান কৈলাস। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘সকলে জন্য দলের দরজা খোলা। তবে দরজায় জালও আছে।’’ মুকুলকে কাল নারদ-কাণ্ডে ক্লিনচিট দেওয়া নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি ক্লিনচিট দেওয়ার কে, মুকুলবাবু যা বলেছেন আমি তাই বলেছি।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় আজ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মুকুল রায় পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তাঁকে ছেড়ে তৃণমূলের লোকসান হবে।’’
রাজ্যসভার সাংসদ পদের সঙ্গে ১৮১ সাউথ অ্যাভিনিউ-এর বাড়িটিও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছাড়তে চান মুকুল। আজ সেই উদ্দেশ্যেই রাজ্যসভার হাউস কমিটির চেয়ারম্যান শিবচরণ মাথুরের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের এই প্রাক্তন নেতা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসও। সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের জন্য বরাদ্দ টাকা তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী খরচ করা হয়নি বলে আজ রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন মুকুল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দল বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য লিখিয়ে নিয়ে যায়। সেটা রেওয়াজ। কিন্তু আমার অনুরোধ করা প্রকল্পগুলি গত দেড় বছর আটকে রেখে দিয়েছে।’’