it cell

আইটি সেলের জন্য দফতর খুঁজছে বিজেপি

নির্বাচনে দেশ জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি

Advertisement

স্যমন্তক ঘোষ

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৮ ০৫:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি

লোকসভা ভোটের আগে ঢেলে সাজা হচ্ছে রাজ্য বিজেপির আইটি সেল। মূলত ইন্টারনেটে প্রচারের কাজ চালানো যাদের দায়িত্ব। খবর, নির্বাচনে দেশ জুড়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। সে কারণেই বঙ্গ বিজেপির উপর আইটি সেলকে উন্নত করার চাপ দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

বিরোধীরা বরাবরই অভিযোগ করে, বহু ঘটনায় আইটি সেলের মাধ্যমে বিজেপি ‘ভুয়ো খবর’ প্রচার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে। পশ্চিমবঙ্গেও সে ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের অভিযোগ। বসিরহাট, বাদুড়িয়ায় হিংসার ঘটনায় ভিন্ রাষ্ট্রের ভিডিয়ো ব্যবহার করেও বিজেপির আইটি সেল ‘উস্কানিমূলক’ প্রচার চালিয়েছিল বলে অনেকের অভিযোগ। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, কেরলের বন্যা পরিস্থিতিতে আরএসএস-এর অংশগ্রহণ দেখাতে গিয়ে বেশ কয়েক বছর আগের একটি ছবি পোস্ট করেছে দলের আইটি সেল। বিজেপি অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। তবে বিরোধীদের বিভিন্ন অভিযোগের আবহে বিজেপির আইটি সেলকে ঢেলে সাজার উদ্যোগ রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই বিজেপির সদর দফতর ৬ মুরলীধর সেন লেন থেকে দক্ষিণ কলকাতায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে আইটি সেলের দফতর। দক্ষিণ কলকাতায় ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বর্গ ফুটের একটি অফিস দেখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শীর্ষ নেতৃত্ব সবুজ সঙ্কেত দিলে সেখানে আইটি সেলের কাজ শুরু হতে পারে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘প্রকৃত কংগ্রেস’ হলে তৃণমূলে আসুন: অভিষেক

সূত্রের খবর, আরও আগেই আইটি সেলের নতুন দফতর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যেত। কিন্তু মাঝে অমিত শাহের সমাবেশ এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুর কারণে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সুযোগ মেলেনি।

আরও পড়ুন: ঝুলেই রইল পঞ্চায়েত-রায়, ভোট কি অবৈধ? প্রশ্ন আদালতের

প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে আইটি সেল ইতিমধ্যেই যথেষ্ট উন্নত হয়েছে। অমিত শাহের সভায় যোগ দিতে আসা বিহারের আইটি সেলের এক নেতা জানান, সেখানে প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় একটি করে আইটি সেলের দফতর আছে। আছেন এক জন করে আহ্বায়ক। এ ছাড়া পটনায় আছে সদর দফতর। মূলত ‘নমো অ্যাপ’এর মাধ্যমেই গোটা দেশের দলীয় আইটি সেল কাজ করে। পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমেও দলীয় কর্মসূচি প্রচারের দায়িত্ব থাকে এই সেলগুলির উপরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement