BJP-TMC clash

বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে! গুলি, বোমাবাজি কিছুই বাদ গেল না সমবায় নির্বাচনে

সমবায় ভোট ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। গুলি, বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ, বাদ গেল না কিছুই!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৩
Share:

নন্দীগ্রামে গন্ডগোল। —নিজস্ব চিত্র।

সমবায় ভোট ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। গুলি, বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ, বাদ গেল না কিছুই!

Advertisement

রবিবার তমলুকের ‘এগ্রিকালচার সোসাইটি’র নির্বাচন ছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। সেই ভোটকে কেন্দ্র করে রবিবার বেলার দিকে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কাঞ্চননগর গ্রাম। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সামনেই চলে বোমাবাজি। গুলিও চলে। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা (নন্দীগ্রামেরই বিধায়ক) শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। পুলিশের সঙ্গে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তার জেরে বেশ কিছু সময়ের জন্য স্থগিত হয়ে যায় ভোটগ্রহণ।

পরে পুলিশ পরিস্থিতি খানিক নিয়ন্ত্রণ করে বোমাবাজি কিছুটা থামাতে সক্ষম হলেও বহু ভোটার আর বুথমুখো হতে পারেননি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘শনিবার থেকেই বুথ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। ১০০ মিটারের বাইরে ক্যাম্প করার কথা বলা হয়েছিল। অথচ সেখানে রীতিমতো প্রহসন চালিয়েছে তৃণমূল। পুলিশের সামনেই ব্যাপক বোমাবাজি করেছে ওরা। আমাদের এক নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জেরে আমি নিজেও আমার ভোটটা দিতে পারিনি। নন্দীগ্রামের ভোটারদের উপর তৃণমূলের আস্থা নেই বলেই এমন বোমাবাজি করছে।’’

Advertisement

পাল্টা জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘গন্ডগোল বিজেপি করেছে। আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের মানুষ ভোট দেবে বুঝতে পেরে অশান্তি করেছে ওরা। অনেকে ভোট দিতে পারেননি। মানুষই এর জবাব দেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement