বঙ্গ জয়ে পঞ্চায়েতই নিশানা বিজেপির

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট থেকেই বিকল্প হয়ে ওঠার দৌড় শুরুর দাওয়াই দিলেন অমিত শাহ। আরও এক ধাপ এগিয়ে নরেন্দ্র মোদী বললেন, ‘‘দৌড়লে আর হবে না। এ বার লং জাম্প চাই!’’ গোটা দেশে পঞ্চায়েত থেকে সংসদ পর্যন্ত সব আসন দখলের নিশানা কালই নির্দিষ্ট করেছেন অমিত শাহ।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

ভুবনেশ্বর শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৫৫
Share:

খোশমেজাজে দুই নেতা। ছবি: পিটিআই।

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট থেকেই বিকল্প হয়ে ওঠার দৌড় শুরুর দাওয়াই দিলেন অমিত শাহ। আরও এক ধাপ এগিয়ে নরেন্দ্র মোদী বললেন, ‘‘দৌড়লে আর হবে না। এ বার লং জাম্প চাই!’’

Advertisement

গোটা দেশে পঞ্চায়েত থেকে সংসদ পর্যন্ত সব আসন দখলের নিশানা কালই নির্দিষ্ট করেছেন অমিত শাহ। এই কাজ করতে প্রধানমন্ত্রীর সময়সীমা ২০২২— স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ‘নতুন ভারত’-এর স্বপ্নপূরণ। তার আগেই হয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। আর সামনের বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। সেখান থেকেই বাংলায় ঝাঁপানোর নির্দেশ মোদী-শাহ জুটির।

পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, মোদী-শাহের বক্তব্যের নির্যাস হল, তৃণমূল যতই জোট বাঁধুক, বুথ শক্ত করে দলের শক্তি বাড়ানোই কাজ। অমিত শাহের রাজ্যওয়াড়ি সফরে প্রথমেই পশ্চিমবঙ্গ। এটাই একমাত্র রাজ্য, যেখানে বিজেপি সভাপতি দু’দফায় ছ’দিন সময় দিচ্ছেন। তার উপর জনা ৪০ নেতা-মন্ত্রী রয়েছেন। রাজ্যবাসীর আস্থা বাড়াতে হবে, একমাত্র বিজেপিই পারে তৃণমূলকে হারাতে। সে’টি হলেই বাংলা বিজেপির।

Advertisement

আরও পড়ুন:স্বাস্থ্য বিল নিয়ে আইনি যুদ্ধে ডাক্তারেরা

নেতাদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০ হাজার কর্মী মাঠে নেমে পড়ছেন। চলতি সপ্তাহেই বিরোধী শিবিরের পঞ্চায়েত স্তরের নেতারা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। শিলিগুড়ি ও কলকাতার কর্মসূচিতে গিয়ে আক্রমণাত্মক হতে চলেছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্তরে অমিত শাহ সংগঠনের রদবদল করলে রাজ্যেও ফেরবদল হবে। সব মিলিয়ে কর্মসমিতি থেকে যুদ্ধজয়ের মন্ত্র নিয়েই ফিরলেন বিজেপি নেতারা। গত দু’দিনে সেই মন্ত্র পুড়ে দিয়েছে মোদী-শাহ জুটি। মোদী আজ বলেন, বিজেপি অনেক হার হজম করে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে। মানুষের আস্থা অর্জনই লক্ষ্য। এর জন্য ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-ই মন্ত্র। বৈষম্য দূর করে গরিবের উত্থানই লক্ষ্য। বিরোধীদের হাতে অস্ত্র নেই। তাই ইভিএমের মতো খেলো ইস্যু নিয়ে হাঙ্গামা করে।

মোদী সরকারের মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের দাবি— “পশ্চিমবঙ্গে জমি তৈরি। বিজেপির সরকার নিশ্চিত!” আর এক মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে যোগ করলেন, “চিট-ফাণ্ডে যাঁরা গরিবকে লুঠ করে পকেট ভরেছে, তাঁদের জেলে যাওয়াও নিশ্চিত।” বিজেপি মনে করছে, চিট-ফাণ্ড নিয়ে থাবা বসা শুরু হলে রাজ্যের শাসক দলের মনোবল ভেঙে যাবে। বিরোধী হিসেবে বামেরা মুছে যাওয়ার পথে। কংগ্রেসের অবস্থাও তথৈবচ। তৃণমূল দুর্বল হলেই বিজেপির কেল্লা-ফতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন