নবাগত মুকুলের পদ নিয়ে টানাপড়েনে বিজেপি

বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের মতে, মুকুলকে যখন দলে নেওয়া হয়েইছে, তখন তাঁকে যথেষ্ট ভাল পদ দিয়ে সম্মানিত করা উচিত। ওই অংশের যুক্তি, রাজ্য বিজেপির অন্য নেতাদের তুলনায় রাজনৈতিক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতায় মুকুল অনেক এগিয়ে।

Advertisement

রোশনী মুখোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৩
Share:

মুকুল রায়। ছবি: সংগৃহীত

বিজেপির সভামঞ্চ থেকে মুকুল রায়ের প্রথম বক্তৃতার জবাব দিতে তৃণমূল এবং রাজ্য সরকারকে যে ভাবে কোমর বেঁধে নামতে হয়েছে, তাতে স্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আইনি লড়াইয়েও মুকুলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু নবাগত মুকুলকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে টানাপড়েন কাটছে না।

Advertisement

বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের মতে, মুকুলকে যখন দলে নেওয়া হয়েইছে, তখন তাঁকে যথেষ্ট ভাল পদ দিয়ে সম্মানিত করা উচিত। ওই অংশের যুক্তি, রাজ্য বিজেপির অন্য নেতাদের তুলনায় রাজনৈতিক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতায় মুকুল অনেক এগিয়ে। ফলে রাজ্যের সর্বোচ্চ পদই তাঁর প্রাপ্য। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের একাংশের এই অবস্থান বুঝেই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এখনও প্রায়ই মুকুল সম্পর্কে বাঁকা কথা বলছেন।

আরও পড়ুন: বিশ্ব বাংলা: ২ আমলাকে তির মুকুলের

Advertisement

বিজেপির অন্য অংশ অবশ্য মনে করছে, মুকুল এখনও সারদা এবং নারদ কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে মুক্ত হননি। এই অবস্থায় তাঁকে দলে নিয়ে বিরোধী তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেসকে অস্ত্র জুগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার উপরে মুকুলকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিলে রাজনৈতিক আত্মহত্যার ষোলো কলা পূর্ণ হবে।

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই দুই অংশের মতের মাঝামাঝি একটি সমাধানসূত্র বার করা চেষ্টা করছেন। গুজরাতের প্রচারে গিয়ে এ দিনই বিমানবন্দরে মুকুলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাসের কাছ থেকে দু’দিন আগের সভার রিপোর্ট পেয়ে শাহ আশ্বস্তই হয়েছেন।

দলীয় সূত্রের খবর, এই অবস্থায় মুকুলকে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের নির্বাচনী কমিটির মাথায় বসানো হতে পারে। তবে যা-ই হোক, তা গুজরাত নির্বাচন মেটার আগে হওয়ার
সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন বিজেপি-র রাজ্য নেতারা। প্রকাশ্যে অবশ্য মুকুলের পদপ্রাপ্তি নিয়ে মুখ খুলছে না রাজ্য বিজেপি। প্রশ্নের জবাবে রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘মুকুলবাবুর পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেবেন। তবে তা নেবেন রাজ্যের সঙ্গে কথা বলেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন