প্রচার সভায় তিনি কু-কথা বলেছিলেন মাস দেড়েক আগে। ইতিমধ্যে ভোট-পর্ব সাঙ্গ হয়েছে। অবশেষে সেই কু-কথার জন্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সোমবার ভর্ৎসনা করল নির্বাচন কমিশন।
দিলীপবাবু এ বার খড়্গপুর সদরের দলীয় প্রার্থী। অভিযোগ, গত ২১ মার্চ নয়াগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত গোপীবল্লভপুরের সংড়োর প্রচার সভায় তিনি প্ররোচনামূলক কথাবার্তা বলেন। কমিশন সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়। তারপর রাজ্য নির্বাচন কমিশন গত ২৭ মার্চ জাতীয় নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট পাঠায়। রিপোর্ট দেখে দিলীপবাবুকে নোটিস পাঠানো হয়।
সে দিন ঠিক কী বলেছিলেন দিলীপবাবু? বিজেপি ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ২১ মার্চ গোপীবল্লভপুরের সংড়ো মাঠের সভাস্থলে জামায় ঘাসফুলের স্টিকার লাগানো স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী সুধাংশু নায়েক গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন। তাতে বিজেপি কর্মীরা খেপে যান। তখন মাইক্রোফোন হাতে দিলীপবাবু ওই তৃণমূল কর্মীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘দু’চারটে গুন্ডা-বদমাস, চোর-চামার বিজেপি-র ঘণ্টা করতে পারবে! পিটিয়ে লম্বা করে দেব। আমিও মারতে জানি। পুঁতে ফেলে দেব। দাদাগিরি পাড়ায় গিয়ে দেখাও। না হলে খুঁজে পাওয়া যাবে না।” কমিশন সূত্রে খবর, ওই প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জন্য ভর্ৎসনা করে দিলীপবাবুকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ দিন দিলীপবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমি ট্রেনে আছি। উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরছি। কমিশন কী করেছে এখনও জানি না।’’