TMC

Sukanta Majumdar: টাকা উদ্ধারে বিজেপির কাছে নাম লেখান: সুকান্ত

বিজেপির পার্টি অফিসে নাম লিখিয়ে টাকা উদ্ধারের ডাক দেওয়াকে ‘অশান্তিতে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা’ বলে মনে করছে তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২২ ০৬:১৪
Share:

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।

শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে আইনি লড়াই এবং সিবিআই তদন্ত চলছে রাজ্যে। তারই মধ্যে ‘ঘুষের টাকা’ উদ্ধারের জন্য তাঁদের দলের নেতা-বিধায়কদের কাছে নাম লেখানোর ডাক দিয়ে বিতর্ক বাধালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তদন্ত এবং মামলার প্রক্রিয়া চলাকালীন এমন বক্তব্যকে ‘উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা’ বলেই মনে করছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী দল সিপিএমও বিজ্পির রাজ্য সভাপতির মন্তব্যকে ‘ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা’ বলে অভিহিত করছে।

Advertisement

কল্যাণীতে বুধবার দলের একটি মিছিল কর্মসূচির শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা, একশো দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন। সেই সূত্রেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ-দুর্নীতির প্রসঙ্গ এনে তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘আমি সমস্ত বেকার যুবক ভাইদেরকে বলছি, যাঁরা এসএসসি-র জন্য টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, সেই চাকরি চলে যাবে এ বার সিবিআই তদন্ত হয়ে। সেই টাকাটা ফেরত নিতে হবে তো তৃণমূলের নেতাদের কাছ থেকে। আপনারা একা একা পারবেন না। বিজেপির পার্টি অফিসে নাম লিখিয়ে যান আমাদের বিধায়কের কাছে। আমাদের সভাপতির কাছে। কোন তৃণমূল নেতা কত টাকা খেয়েছে, আপনাকে নিয়ে গিয়ে সেই তৃণমূল নেতার তিজোরি থেকে সব টাকা বার করে আপনার হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’

বিজেপি কার্যালয় ভাঙা এবং বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার এক দলীয় নেতার উপরে হামলার প্রতিবাদে কল্যাণীতে এ দিন মিছিল ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্তের। বিভিন্ন এলাকার বিধায়কেরাও মিছিলে হাজির ছিলেন। মিছিল শেষে শুভেন্দু চলে যান শ্যামনগরে দলের অন্য কর্মসূচিতে। আর অনুকূল মোড়ে সভা করেন সুকান্ত। সেখানেই তিনি এই কথা বলেন।

Advertisement

বিজেপির পার্টি অফিসে নাম লিখিয়ে টাকা উদ্ধারের ডাক দেওয়াকে ‘অশান্তিতে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা’ বলে মনে করছে তৃণমূল। দলের নেতা তাপস রায়ের মন্তব্য, ‘‘বিজেপি নেতারা যে ভাবে দল ছাড়ছেন, তাতে কে ক’দিন ওই দলে থাকবেন, আগে সেটা ঠিক করুন!‌ তার পরে এ সব নিয়ে কথা বলা যাবে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রতি রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘উনি শিক্ষানবিশ সভাপতি! রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ, দলের কিছু ঠিক নেই, লোকজন ছেড়ে যাচ্ছে। এ সব অশান্তিতে প্ররোচনা। নিজেদের লোকেরা কে কোথায় টাকা তুলেছে, আগে সেটা আদায় করে ফিরিয়ে দিক!’’

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও এক হাত নিয়েছেন বিজেপিকে। তাঁর কথায়, ‘‘টাকা উদ্ধার অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু প্ররোচনা তৈরির চেষ্টা সমর্থনযোগ্য নয়। আর এসএসসি-প্রশ্নে রাস্তার লড়াইয়ে চাকরি-প্রার্থীদের পাশে থেকেছে বাম ছাত্র-যুবরা। আইনি লড়াই যাঁরা করেছেন, তাঁদের পরিচয়ও সবাই জানে। বিজেপি তো কোথাও ছিল না! হঠাৎ এই জল ঘোলা করে ভেসে ওঠার চেষ্টা কেন?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন