‘অভিনন্দন যাত্রা’য় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
খড়্গপুর-সহ রাজ্যের তিনটি আসন জয়ের পরে সংগঠনকে ঢেলে সাজার কাজ শুরু করতে চলেছে বিজেপি। পাশাপাশি উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ও পুরসভার সহযোগিতা নেওয়ার কথাও জানান তিনি। শুক্রবার খড়্গপুর শহরের ‘অভিনন্দন যাত্রা’ শুরুর আগে এমন সিদ্ধান্তের কথাই জানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা শহরের বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। শহরে জয়ের পরে এ দিন প্রথম বের হওয়া এই যাত্রা কর্মসূচিতে এক মোটর বাইক র্যালির আয়োজন করেছিল বিজেপি। তার আগে সাংবাদিকদের সামনে দিলীপবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কেন্দ্র ভাল কাজ করলে সমর্থন করব। আমিও বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল কাজ করলে সহযোগিতা করব। কিন্তু বিপথগামী হলে বিরোধীদের নিয়ে প্রতিবাদ জানাব। আমাদের শক্তি কম। একা পারব না।”
রাজ্যে এ বার গেরুয়া শিবির দশ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কিছুটা হলেও সংগঠন বেড়েছে বলেই বিজেপির ধারণা। তার উপরে খড়্গপুর শহরে দলের রাজ্য সভাপতি জয়ী হওয়ায় এই রেলশহরেও উজ্জীবিত দল। ফলে শহরের উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে রেল এলাকার উন্নয়নে জোর দিতে চেয়েছেন বিজেপে-র রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলেছি। কথা লিখিতভাবে তুলে ধরেছি। রেলের এলাকার উন্নয়নে প্রয়োজনে পুরসভার সহযোগিতাও নেব।”
তবে শুধুমাত্র এই জয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে আগামীদিনে লোকসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করছে বিজেপি। কিন্তু শক্তি কম সে কথা জেনেই আপাতত সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে হাঁটতে চাইছেন দিলীপবাবু। তিনি জানান, এ বার ব্লক ভিত্তিক মণ্ডল কমিটি ভেঙে দিয়ে জেলা পরিষদের আসন ভিত্তিক মণ্ডল কমিটি গঠন করা হবে। এ ক্ষেত্রে ৮০-১০০টি বুথ নিয়ে একটি মণ্ডল গঠিত হবে। দলে যোগ দেওয়া যুব সম্প্রদায়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৫০ শতাংশ আসন জয়ের লক্ষ্যে সংগঠন মজবুত করতে চাইছেন তাঁরা। আপাতত জুলাই থেকে অগস্টের মধ্যে ৫০ হাজার বাছাই করা নেতা-কর্মীকে প্রশিক্ষিত করার কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিনের অভিনন্দন যাত্রা ইন্দা থেকে শুরু হয়ে ট্রাফিক, গোলবাজার, বড়বাতি, মালঞ্চ, নিমপুরা, ঝাপেটাপুর হয়ে পুরাতনবাজারে শেষ হয়।