সোমবার ফের ‘যাত্রা’ শুরু যুব বিজেপি-র

যুব বিজেপি-র প্রস্তাবিত ১১ থেকে ১৮ জানুয়ারি দিঘা থেকে কোচবিহার মোটরবাইক নিয়ে ‘প্রতিরোধ সঙ্কল্প যাত্রা’র অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবু বৃহস্পতিবার দিঘা থেকে মোটরবাইক মিছিল শুরু করার সময় পুলিশের বাধা আসে বলে বিজেপি-র অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১০
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আগামিকাল, সোমবার ফের ‘প্রতিরোধ সঙ্কল্প যাত্রা’ শুরু করবে বিজেপি-র যুব মোর্চা। আগামী ২০ জানুয়ারি কোচবিহারে যাত্রা শেষে সমাবেশ করবে তারা। যুব বিজেপি সোমবার ফের বাইক মিছিল শুরু করলে নতুন করে অশান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

যুব বিজেপি-র প্রস্তাবিত ১১ থেকে ১৮ জানুয়ারি দিঘা থেকে কোচবিহার মোটরবাইক নিয়ে ‘প্রতিরোধ সঙ্কল্প যাত্রা’র অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবু বৃহস্পতিবার দিঘা থেকে মোটরবাইক মিছিল শুরু করার সময় পুলিশের বাধা আসে বলে বিজেপি-র অভিযোগ। শুক্রবার বিবেকানন্দের জন্মদিনে কলকাতায় যুব মোর্চার মোটরবাইক মিছিলে তৃণমূল হামলা করে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মিছিলের তত্ত্বাবধানে হাইকোর্ট নিযুক্ত স্পেশাল অফিসার রবিশঙ্কর দত্তের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার জেরে ফের মামলা গড়ায় আদালতে। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, যুব মোর্চা ১৫ থেকে ২০ জানুয়ারি মোটরবাইক মিছিল করতে পারে নির্দিষ্ট পথে। কিন্তু ওই দিন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের উপর তাঁদের আস্থা নেই। ফলে যাত্রা আর করা হবে কি না, তা বৈঠক করে ঠিক করতে হবে। শনিবার দলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, তৃণমূলের হামলার মুখে পিছু হঠার প্রশ্ন নেই। সোমবার ফের যাত্রা শুরু হবে। না হলে কর্মীরা এবং জনগণ বিজেপি-কে ‘দুর্বল’ ভাবতে পারেন।

বাইক মিছিলে হামলার প্রতিবাদে এ দিন বেহালা, বাগুইআটি, লেকটাউন-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। আর শুক্রবার বিজেপি-ই পরিকল্পনা মাফিক অশান্তি পাকিয়েছিল— এই অভিযোগ তুলে গণেশ টকি থেকে পোস্তা, পাথুরিয়াঘাটা, জোড়াবাগান হয়ে ফের গণেশ টকি পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। যার নেতৃত্বে ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং বিধায়ক স্মিতা বক্সী। শশী বলেন, ‘‘বিজেপি শুক্রবার যে ভাবে অশান্তি করেছে, তা নিন্দনীয়। ওদের কর্মীদের হাতে লাঠি ছিল। সেই লাঠির ডগায় হুক ছিল, যা দিয়ে ব্যানার পোস্টা ছেঁড়া যায়। বিনানি ভবনে যে কর্মীরা বৃহস্পতিবার রাতে ছিলেন, তাঁরা এত অসভ্যতা করেছেন, যে স্থানীয় মানুষ বিরক্ত হয়েছেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ফের ঘূর্ণাবর্ত, কামড় কমলেও যাচ্ছে না ঠান্ডা

তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বিজেপি সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে। ওরা বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করলে সফল হবে না। আমরা রাজনৈতিক ভাবে লড়ব। আর বাইক নিয়ে গুন্ডামি করলে প্রশাসন কঠোর হাতে রুখবে।’’ আর তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ দিনই বর্ধমানে মন্তব্য করেন, ‘‘পাঁচটা লোক নিয়ে একশো জনকে খেদাতে আসবেন না। রাজনীতি করুন। কিন্তু বিশৃঙ্খলা করবেন না।’’

বিজেপি-র অবশ্য অভিযোগ, বিশৃঙ্খলা তৃণমূলই করে। উলুবেড়িয়া লোকসভা ও নোয়াপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনে ওই বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এ দিনই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন মুকুল রায়-সহ তিন বিজেপি নেতা-নেত্রী। তাঁদের দাবি, প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন