Calcutta High Court

ব্রিগেডে মোদীর গীতাপাঠ কর্মসূচির দিনেই টেট! দিন বদল চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন দিলীপ ঘোষ

সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। প্রধান বিচারপতি জানান, পরীক্ষার দিন পরিবর্তন সম্ভব নয়। মামলা দায়ের করা হোক। তার পর বিবেচনা করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৩৫
Share:

দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর গীতাপাঠ কর্মসূচির দিনই টেট হচ্ছে। তাই প্রাথমিকে নিয়োগের যোগ্যতা নির্ণায়ক এই পরীক্ষার দিন পরিবর্তন চেয়ে এ বার কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল।

Advertisement

সোমবার এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। প্রধান বিচারপতি জানান, পরীক্ষার দিন পরিবর্তন সম্ভব নয়। মামলা দায়ের করা হোক। তার পর বিবেচনা করা হবে।

মামলাটি করতে চান বিজেপি নেতা তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আদালতে দিলীপের আইনজীবীর বক্তব্য, গত ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়েছিল। পরে পরিবর্তন করে ২৪ ডিসেম্বর করা হয়। ওই দিন কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কর্মসূচি হয়েছে। তাই পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হোক।

Advertisement

আগে ১০ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেটের দিন ঘোষণা করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানিয়েছিল, ওই দিন দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত পরীক্ষা হবে। এর পর গত সোমবার পর্ষদ জানায়, ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে না। পরিবর্তে পরীক্ষা হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। তবে পরীক্ষার সময়ে কোনও বদল হচ্ছে না বলেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় পর্ষদ। তবে কী কারণে এই দিন বদল, তা জানানো হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে। শুধু বলা হয়, অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত।

কেবল পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘আমরা এ বার বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ করছি যাতে পরীক্ষা একেবারে নির্বিঘ্নে হয়। তার জন্য বোর্ডের বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন। তাই পরীক্ষার দিন পিছোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।’’ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজারের কাছাকাছি।

বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের যৌথ প্রয়াসে হলেও গীতাপাঠ কর্মসূচির নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপি নেতাদের দাবি যে, রাজনীতি করার জন্যই পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির দিন টেট নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করেন দিলীপও। তিনি বলেন, ‘‘এ রাজ্যের শাসকদল এবং মুখ্যমন্ত্রী যে সনাতন বিরোধী, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। উনি নিজেই তাঁর নানা কাজকর্ম দিয়ে সেটা বুঝিয়ে দেন। পরীক্ষা পিছিয়ে একটি সনাতন কর্মসূচির দিনে ফেলা সেই মনোভাবেরই পরিচয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন