dankuni

Dankuni: স্নিফার ডগ এনে তল্লাশি, এক দিন পেরোলেও মেলেনি বীরভূমের ব্যবসায়ী, গাড়িচালকের দেহ

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, ৭০ হাজার টাকার জন্যই শামিম ও তাঁর গাড়িচালককে খুন করেছেন আখতাররা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২১ ১৭:১১
Share:

স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

বীরভূমের ব্যবসায়ী শামিম হোসেন এবং তাঁর গাড়িচালক বরুণ মুর্মুর দেহ কি আদৌ ওই পচা খালে ফেলেছিলেন আখতাররা? তল্লাশির ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও ডানকুনির খাল থেকে দেহ উদ্ধার না হওয়ায় রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। গত ৫ অগস্ট নিখোঁজ রয়েছেন শামিম ও বরুণ। তাঁদের খুন করে ডানকুনির পচা খালে ফেলে দিয়েছেন বলে পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছেন তিন অভিযুক্ত আখতার, কালো এবং বাবু। তাঁদের দেখানো জায়গায় তন্ন তন্ন করে খুঁজেও বৃহস্পতিবার দেহ মেলেনি। ফের শুক্রবার তল্লাশি শুরু হয়েছে। দেহের হদিশ পেতে এ বার স্নিফার ডগ নিয়ে এসেছে পুলিশ।

Advertisement

এই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে এসেছে। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই কি দেহ দু’টি ওই খালে ফেলার গল্প ফেঁদেছেন অভিযুক্তরা? যে ভাবে শামিমের পিকআপ ভ্যানটি জামালপুরে ফেলে এসেছিলেন আখতাররা, এ ক্ষেত্রেও কি সেই কৌশল নিলেন তাঁরা? সময় যত এগোচ্ছে এই প্রশ্নগুলিই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে স্থানীয়দের মধ্যে। টানা জেরায় বৃহস্পতিবার পুলিশের কাছে অভিযুক্তরা দাবি করেছিলেন শামিম ও বরুণকে খুন করে ডানকুনি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ডোঙাঘাটা পোলের কাছে পচা খালে ফেলে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি অনুযায়ী সেই খালে বৃহস্পতিবার থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, ৭০ হাজার টাকার জন্যই শামিম ও তাঁর গাড়িচালককে খুন করেছেন আখতাররা। তাঁর সঙ্গে শামিমের বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল। আর সেই সুবাদেই শামিমের সব খুঁটিনাটি জানতেন আখতার। কলকাতায় এলে শামিম যে প্রচুর নগদ টাকা নিয়ে আসতেন সেটাও জানতেন আখতার। পুলিশের ধারণা, শামিমের কাছে ৭০ হাজার টাকা রয়েছে সেটা জানতে পেরে সেগুলো হাতানোর পরিকল্পনা করেন আখতার। সেই টাকা হাতাতে জুটিয়ে নিয়েছিলেন কালো আর বাবুকে। তার পর পরিকল্পনা করে খুন করেন ব্যবসায়ী এবং তাঁর গাড়িচালককে। চন্দননগর পুলিশ সূত্রে খবর, শামিমের সত্তর হাজার টাকা নিয়ে বাবু একটি মোবাইল ফোন কেনেন। সেই ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

Advertisement

শামিমের মামা রেজাউল করিম বলেন, “আমার ভাগ্নের কাছে টাকা থাকে সেটা আখতার জানতেন। সেই কারণেই খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ধরা পড়েছে ঠিকই এখনও মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। পুলিশের তদন্ত ঠিক চলছে। তবে মৃতদেহ লোপাট করার জন্য অভিযুক্তরা মিথ্যা বলছেন কি না সেটাও দেখা উচিত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন