Police Investigation

আবর্জনার স্তূপ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার দেহ, রহস্য

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখান থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, সেই এলাকাটি দক্ষিণ দমদম পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৫ ০৯:২২
Share:

খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।

বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের এক নম্বর রেলগেট সংলগ্ন জ্যোতিনগরে। শুক্রবার সকালের ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছিল, দেহটি এক মহিলার। পরে অবশ্য তারা জানায়, মৃত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। তাঁর পরিচয় এখনও জানতে পারেনি দমদম থানার পুলিশ। আপাতত একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখান থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, সেই এলাকাটি দক্ষিণ দমদম পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের এক নম্বর গেটের কাছে মিলিটারি ক্যাম্পের পাশে একটি জায়গায় আবর্জনা ফেলা হয়। এ দিন সকালে সেখানে একটি বস্তায় আগুন জ্বলতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা এসে দেখেন, ওই বস্তা থেকে এক জনের পা বেরিয়ে আছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে দমদম থানার পুলিশ। পৌঁছন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। বস্তাটি পুলিশ খুললে ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দেহটি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, বস্তাটিতে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়েছিল অথবা কোনও ভাবে আগুন ধরে গিয়েছিল বলে তাঁদের সন্দেহ।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের দেহে বাইরে থেকে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে দেহের অবস্থান দেখে তদন্তকারীদের ধারণা, এ দিন সকালেই দেহটি আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা দিয়ে বহু লোক যাতায়াত করেন। তার পরেও সকলের অগোচরে কী ভাবে বস্তাবন্দি অবস্থায় এক জনের দেহ ফেলে দিয়ে যাওয়া হল, তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় মহলেও খোঁজখবর করার কাজ শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন