ইসরাফিল গাজি
নেই কোনও বৈধ নথি। পেটের টানে নাবালক ছেলেকে নিয়ে কাঁটাতার টপকে ভারতে ঢুকেছিলেন বাবা-মা। প্রায় তিন বছর পরে শুক্রবার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরল ছেলে। তবে বাবা-মা থেকে গেলেন সংশোধনাগারেই।
বছর ষোলোর ইসরাফিল গাজির বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার জাহানাবাজ গ্রামে। ২০১৫-র শেষ দিকে বাবা রহমান গাজি ও মা ফতেমা খাতুনের সঙ্গে ভারতে ঢোকে সে। পরিচয় লুকিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার এক ইটভাটায় যোগ দেয় তিন জন। ২০১৬-এর ১৪ জানুয়ারি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশে ইসরাফিলের ঠাঁই হয় ডেবরার চককুমারের শিশু-কিশোর হোমে। জেলে যান বাবা-মা। পূর্ব মেদিনীপুরের জাস্টিস বোর্ডে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন দোষ কবুল করে নেয় ইসরাফিল। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ জাস্টিস বোর্ড ইসরাফিলকে তিন মাস হোমে থাকার সাজা দেয়।
মেয়াদ শেষ হতেই ইসরাফিলকে বাংলাদেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছিল। তবে বাংলাদেশ থেকে অনুমোদনের প্রতিলিপি না আসায় দেশে ফিরতে পারেনি ওই কিশোর। গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে টাস্ক ফোর্স ও ডেপুটি হাইকমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মাধ্যমে অনুমোদন মেলে। এ দিন ইসরাফিলকে পেট্রাপোল সীমান্তে নিয়ে গিয়ে পরিজনদের কাছে ফিরিয়ে দেন জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড ও হোম কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল চেকপোস্টে ছলছল চোখে ঠাকুর্দাকে জড়িয়ে ধরে ইসরাফিল। তার কথায়, “বাবা-মাকে ছেড়ে ফিরছি। তবে নিজের দেশে আবার ফিরতে পারব ভাবিনি।”