শেষ বার জনসমক্ষে তাঁকে দেখা গিয়েছিল পার্ক সার্কাস ময়দানে। বিধানসভা ভোটের প্রচারে কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে এক মঞ্চে কেন দাঁড়িয়েছিলেন, তা নিয়ে ভোটের আগে-পরে বিতর্কও হয়েছিল বিস্তর। নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে আর তাঁকে মুখ খুলতে শোনেনি কেউ। এমনকী, দলীয় মঞ্চেও মাসের পর মাস গরহাজিরই ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নতুন বছরে আবার দলের মঞ্চে বক্তার ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে!
বাংলায় সিপিএমের দৈনিক মুখপত্রের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয় প্রতি বছর ৩ জানুয়ারি। এ বার দলীয় মুখপত্রের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ স্মারক সংকলন প্রকাশ করা হবে ৩ তারিখের অনুষ্ঠানে। প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে সেই উপলক্ষে সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে রাখা হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, শরীর সুস্থ থাকলে বুদ্ধবাবু ওই সভায় যাবেন বলেই উদ্যোক্তাদের জানিয়েছেন। সেইমতোই সভার প্রচার শুরু হয়েছে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘বুদ্ধদা এখন আর বিশেষ সভা-সমাবেশে যান না। কিন্তু তাঁর কথা শোনার জন্য দলের কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ এখনও প্রবল। ধুলো-ধোঁওয়া এড়িয়ে কলকাতায় প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে অনুষ্ঠান বলে তাঁর খুব একটা অসুবিধা হবে না।’’ সভায় থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বিমান বসুও। তবে এই একই প্রেক্ষাগৃহে সিপিএমের রাজ্য সাংগঠনিক প্লেনাম হয়ে গিয়েছে। চার দেওয়ালের মধ্যেই হয়ে গিয়েছে দলের একের পর এক রাজ্য কমিটির বৈঠক। কোথাওই বক্তৃতা করতে উৎসাহ দেখাননি বুদ্ধবাবু। হতাশ হয়ে বসে থেকে রাজ্য রাজনীতিতে সিপিএম নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা কমিয়ে ফেলছে কেন, সেই প্রশ্ন ঘিরে বিতর্কের সময়েই ফের মাইক ধরতে রাজি হয়েছেন তিনি।