রথযাত্রা বন্ধ করতে হাতিয়ার বুলন্দশহর

বিজেপির রথযাত্রা আটকাতে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে হিংসার উদাহরণ টানল রাজ্য পুলিশ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫২
Share:

ফাইল চিত্র।

বিজেপির রথযাত্রা আটকাতে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে হিংসার উদাহরণ টানল রাজ্য পুলিশ।

Advertisement

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য পুলিশের আইনজীবী আনন্দ গ্রোভার যুক্তি দেন, বিজেপির সরকার বুলন্দশহরে গোলমাল থামাতে পারেনি। সেখানে পুলিশকে প্রাণ দিতে হয়েছে। বিজেপি যে ধরনের যাত্রা করতে চাইছে, তাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ণ হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না পুলিশের শীর্ষকর্তারা। আজ, বৃহস্পতিবার আদালত তার রায় দেবে।

হাইকোর্টের নির্দেশে গত ১৩ ডিসেম্বর রথযাত্রা নিয়ে বিজেপির তিন নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের তিন শীর্ষ কর্তা। তার পর ১৫ তারিখ বিজেপি-কে চিঠি দিয়ে প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে বিজেপি চাইলে জনসভা করতে পারে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর আদালতে ফের মামলা করেছে বিজেপি।

Advertisement

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত এ দিন তাঁর সওয়ালে বলেন, সংবিধান সভা, সমাবেশের অধিকার দিলেও, আইনশৃঙ্খলার কারণে কোনও সভা বা সমাবেশ রাজ্য নিষিদ্ধ করতে পারে। সংবিধানই রাজ্যকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।

মুম্বই হাইকোর্টের একটি নির্দেশ উল্লেখ করে এজি যুক্তি দেন, মুম্বই বিস্ফোরণের পরে ওই শহরের হকার উচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়। মহারাষ্ট্র সরকার আদালতে জানিয়েছিল, নিরাপত্তার কারণেই হকার উচ্ছেদ করতে হয়েছে। হাইকোর্ট সেই যুক্তি মেনে নিয়েছিল। এখানেও জনসাধারণের নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুমতি দিতে ভরসা দিচ্ছে না।

বিজেপির পক্ষে আইনজীবী সুরেন্দ্রকুমার কপূর আদালতে দাবি করেন, প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের উপর শাসক দলের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, অশান্তির ‘আশঙ্কা’ থাকা অনুমতি না-দেওয়ার সঙ্গত কারণ হতে পারে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন