SSC Recruitment Case

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল, এসএসসির বিরোধিতা সত্ত্বেও চাকরি যাচ্ছে না প্রিয়ঙ্কার

২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রিয়ঙ্কাকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে এসএসসি সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২৩ ১৫:৩০
Share:

(বাঁ দিকে) কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষিকা প্রিয়ঙ্কা সাউ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাকরি পেয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা সাউ। কিন্তু তাঁর নিয়োগের পরেও এই চাকরির বিরোধিতা করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। সেই মামলায় এ বার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেল এসএসসি। তাদের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রিয়ঙ্কাকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে এসএসসি সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তাদের বক্তব্য ছিল, ক্যাটেগরিভিত্তিক বিস্তারিত মেধাতালিকা যাচাই করে দেখা গিয়েছে, প্রিয়ঙ্কার চাকরির সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মামলাটিতে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ আগেই মেনে নিয়েছিল কমিশন। সেই অনুযায়ী প্রিয়ঙ্কা চাকরিও পেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে কমিশনের আবেদন কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে চায়নি ডিভিশন বেঞ্চ।

একইসঙ্গে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, পুরুষ এবং মহিলাভিত্তিক মেধাতালিকা বিচার করলে প্রিয়ঙ্কার চাকরি পাওয়ায় কোনও ভুল নেই। তাই তাঁর চাকরি বহাল থাকছে। আদালতে প্রিয়ঙ্কার হয়ে মামলাটির সওয়াল করেছেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রিয়ঙ্কাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, যোগ্যতা ও নম্বর বেশি থাকা সত্ত্বেও প্রিয়ঙ্কা চাকরি পাননি। আদালতকক্ষে এসএসসির তরফে জানানো হয় যে, ওই প্রার্থীকে মহিলা বিভাগে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। সেই পর্বে বাদ যান প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে নিয়োগের নির্দে‌শ দেন। পাশাপাশি কমিশনকে তিনি এ-ও বলেছিলেন, তিনটি স্কুলের বিকল্প থেকে প্রিয়ঙ্কাকে পছন্দমতো স্কুল বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। ওই বছরেই নির্দেশ কার্যকর করেছিল এসএসসি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন