Bengal Recruitment Scam Case

তৃণমূলের শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয় কেন? হাই কোর্টের ধমকে পাঁচ মিনিটে এফআইআর দায়ের

সম্প্রতি হাওড়ায় তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষাসেলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সিরাজুল ইসলামকে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৫ ১৯:২৮
Share:

তৃণমূলের শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

তৃণমূলের শিক্ষক নেতা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তা সত্ত্বেও কেন পদক্ষেপ করা হয়নি, কেন তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়নি, আদালত সে প্রশ্ন তোলে। পুলিশের ভূমিকা সমালোচিত হয় হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। আদালতের ভর্ৎসনার পর পাঁচ মিনিটের মধ্যে হাওড়া সদর থানা সিরাজুলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। আগামী ২৮ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে এই সংক্রান্ত তদন্তের অগ্রগতি জানাতে বলেছে হাই কোর্ট।

Advertisement

সম্প্রতি হাওড়া জেলায় তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষাসেলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সিরাজুলকে। ২০০১ সালে হাই কোর্টের নির্দেশে তাঁর চাকরি গিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ছিল বলেও বৃহস্পতিবার আদালতে জানান মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বর্তমানে সিরাজুলের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। উভয় অভিযোগে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে সিরাজুলকে শিক্ষা সংক্রান্ত পদে নিয়োগ করা হল, জানতে চান বিচারপতি বসু।

রাজ্য সরকারের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সোমা রায় নামক চাকরিপ্রার্থী এই মামলায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর মামলায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল আদালত। বিচারপতি বসুর নির্দেশ ছিল, সারা রাজ্যে বেআইনি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্ত করবে ওই কমিটি। সেই তদন্তেই সিরাজুলের নাম প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, তার পরেও তৃণমূলের শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ। মামলাকারী জানান, সিরাজুলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে চাইছে না পুলিশ। কোনও অভিযোগই নেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

মামলাকারীর আইনজীবীর সওয়াল শুনে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। জানান, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডিকে এ বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। সিরাজুলের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি তারা খতিয়ে দেখবে এবং ২৮ মার্চ এই সংক্রান্ত তদন্তের অগ্রগতি আদালতে জানাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement