কলকাতা হাইকোর্ট।
একটি স্কুলে পড়াতে পড়াতে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন এক শিক্ষিকা। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে সেই সময়েই অন্য একটি স্কুলে তাঁকে নিয়োগপত্র দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেখানে নিয়োগের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। সেই আর্জি মঞ্জুর না-হওয়ায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফ বুধবার নির্দেশ দিয়েছেন, ওই শিক্ষিকাকে নিয়োগের জন্য পুনরায় সুপারিশ করে তাঁকে যোগদানের সুযোগ দিতে হবে। এবং তত দিন পর্যন্ত ওই স্কুলের শূন্য পদে অন্য কাউকে নিয়োগ করা যাবে না।
অপর্ণা সেন নামে ওই শিক্ষিকার আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী বলেন, নির্দিষ্ট কারণ থাকলে পর্ষদ নিয়োগের সময়সীমা বাড়াতে পারে। কিন্তু এই সামান্য জটিলতা মেটাতে চাকরিপ্রার্থীকে আদালতে আসতে হবে কেন, প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি।
আশিসবাবু জানান, ২০১১ সালে অপর্ণাদেবী পুরুলিয়ার সোনাথালি হাইস্কুলে চাকরি পান। উচ্চ মাধ্যমিকের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করার জন্য তিনি আবেদন জানান ২০১৬ সালে। গত জুলাইয়ে কমিশন তাঁকে উচ্চ মাধ্যমিকের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষিকা-পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। অগস্ট থেকে তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে যান। সেপ্টেম্বরে পর্ষদ অপর্ণাদেবীর কাছে নিয়োগপত্র পাঠিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে বাঁকুড়ার রামসাগর হাইস্কুলে কাজে যোগ দিতে বলেছিল। কিন্তু ছুটিতে থাকায় তিনি সেখানে যোগ দিতে পারেননি। পর্ষদের আইনজীবীর বক্তব্য, ওই শিক্ষিকার মাতৃত্বকালীন ছুটি সংক্রান্ত তথ্য তাঁদের কাছে ছিল না।