বারাসতের ‘গণধর্ষণে’ কোর্টের তোপে পুলিশ

এক মহিলাকে বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ কেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করল না তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আরও প্রশ্ন, কী কারণে ঘটনার তিন দিন পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের হল?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:১৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

এক মহিলাকে বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ কেন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করল না তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আরও প্রশ্ন, কী কারণে ঘটনার তিন দিন পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের হল?

Advertisement

বারাসতের বাসিন্দা এক মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই তদন্তে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন নির্যাতিতার সহোদরা। সেই মামলায় বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে বৃহস্পতিবার ওই প্রশ্ন করেন। বিচারপতি এ দিন মামলার তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দেন, ১৪ নভেম্বর তাঁর আদালতে হাজির থেকে ওই প্রশ্নের জবাব

দিতে। বিচারপতির নির্দেশ, নির্যাতিতা মহিলাকে বারাসত হাসপাতাল থেকে এসএসকেএম বা তার সমতুল হাসপাতালে পাঠিয়ে সরকারি খরচে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে।

Advertisement

এ দিন শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী দেবজ্যোতি বসু আদালতে অভিযোগ করেন, ২৩ অক্টোবর ভোরের ঘটনা। পুলিশ এফআইআর দায়ের করে ২৬ অক্টোবর। বিচারপতি সরকারি কৌঁসুলির উদ্দেশে মন্তব্য করেন, ‘‘বিবস্ত্র, রক্তাক্ত এক মহিলা রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। টহলদারি পুলিশ বারাসত থানায় খবর দিল। এএসআই নৃপেন সরকার মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। কিন্তু স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করলেন না?’’

আইনজীবী দেবজ্যোতিবাবু আদালতে অভিযোগ করেন, পুলিশ ঘটনার ন’দিন পরেও ঘটনাস্থল থেকে নির্যাতিতার পরিত্যক্ত জামাকাপড় সংগ্রহ করে তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠায়নি। বিচারপতি এ দিন জানান, তিনি মামলাটি আংশিক শুনলেন। ১৪ নভেম্বর তাঁর আদালতেই ফের শুনানি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন