Calcutta High Court

সুপারনিউমেরারি পদে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নেই, তবু কেন প্রত্যাহারের আবেদন? রাজ্যের বক্তব্য জানতে চাইল হাই কোর্ট

বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, রাজ্য নিজেই বলছে, অন্তর্বর্তী নির্দেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার নিজেরাই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছে! রাজ্যের আবেদনের কী যৌক্তিকতা রয়েছে?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৫ ১৮:২৬
Share:

বুধবার হাই কোর্টে আবার বক্তব্য জানাবে রাজ্য। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

উচ্চ প্রাথমিকের মামলায় রাজ্যের আবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, সুপার নিউমেরারি (অতিরিক্ত শূন্যপদ) পদের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল নেই। তার পরেও রাজ্য কী ভাবে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করল? এ নিয়ে বুধবার আবার বক্তব্য জানাবে রাজ্য। অন্য দিকে, মূল মামলাকারীদের তরফে বলা হয়, পুনরায় অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, বুধবার লিখিত আবেদন করতে হবে। তার পরেই আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে।

Advertisement

উচ্চ প্রাথমিকে শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা বিষয়ে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ করতে চেয়ে অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে রাজ্য। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। সম্প্রতি ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপার নিউমেরারি পদ নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। গত মাসে সেই নির্দেশ দেখিয়ে হাই কোর্টে রাজ্য আবেদন করে। তাদের বক্তব্য, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগের অনুমতি দিক আদালত। ওই বিষয়ে যে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ রয়েছে তা প্রত্যাহার করা হোক। তারা এ-ও জানায় যে, এই নিয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি।

বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, রাজ্য নিজেই বলছে অন্তর্বর্তী নির্দেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার নিজেরাই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছে। রাজ্যের আবেদনের কী যৌক্তিকতা রয়েছে? তাদের কোন বক্তব্যকে আদালত প্রাধান্য দেবে? বুধবার আবার এই বিষয়ে শুনানি হবে।

Advertisement

অন্য দিকে, ব্যক্তিগত কারণে উচ্চ প্রাথমিকের শারীরশিক্ষার মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি বসু। তিনি জানান, ওই মামলাগুলি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। পরবর্তী শুনানি কোথায় হবে, তা নিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরীর সওয়াল, ‘‘এত দিন কেন নিয়োগ করল না রাজ্য? তারা চাইলেই নিয়োগ করতে পারত। অন্তর্বতী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি হয়নি। আসলে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের উদাসীন মনোভাব কাজ করেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement