Kaliagunj Girl Death

কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুতে রাজ্যের বক্তব্যে ‘রহস্য’ দেখছে হাই কোর্ট, রিপোর্ট তলব

রাজ্যের বক্তব্য, ওই নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ধর্ষণের চিহ্ন মেলেনি। তাই নাবালিকার শেষকৃত্য করা হয়েছে। যদিও নাবালিকার মা হাই কোর্টে জানান, রাজ্য সঠিক কথা বলছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৫০
Share:

আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই নাবালিকার শেষকৃত্য নিয়ে পরিবার যা জানিয়েছে, তার সঙ্গে মিলছে না রাজ্য সরকারের বক্তব্য। — ফাইল ছবি।

মৃত নাবালিকার পরিবার এবং রাজ্য সরকারের বক্তব্য মিলছে না। কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের বক্তব্যে ‘রহস্য’ দেখছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই নাবালিকার শেষকৃত্য নিয়ে পরিবার যা জানিয়েছে, তার সঙ্গে মিলছে না রাজ্য সরকারের বক্তব্য। আদালত বিষয়টিকে ‘রহস্যজনক’ হিসাবেই দেখছে।

Advertisement

রাজ্যের বক্তব্য, ওই নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ধর্ষণের চিহ্ন মেলেনি। তাই নাবালিকার শেষকৃত্য করা হয়েছে। যদিও নাবালিকার মা হাই কোর্টে জানান, রাজ্য সঠিক কথা বলছে না। ওই কিশোরীর দেহ এখনও পোড়ানো হয়নি। পরিবারের তরফে বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে ওই নাবালিকার দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের আর্জি জানানো হয়। দু’তরফের এই বক্তব্য শুনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মন্তব্য, ‘‘এটা অত্যন্ত রহস্যজনক বিষয়! শেষকৃত্য নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে পরিবারের বক্তব্য মিলছে না।’’ তাঁর নির্দেশ, এই মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঁচ দিনের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। জমা দিতে হবে কেস ডায়েরি। রাজ্যকে ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি সংরক্ষণ করতে হবে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, দেহে কোনও ধর্ষণের চিহ্ন নেই। বাইরে থেকে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, এমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে নাবালিকার শরীরে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের এই রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় পরিবার। তারা আদালতে দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের দাবি তুলেছেন। যদিও আদালত এখনই তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, ‘‘এখন কেন দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? প্রথম ময়নাতদন্তে ভুল কোথায়?’’

Advertisement

রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, পুকুরপাড়ে প্রথম দেহ দেখে পুলিশ। পাশে একটি বোতল জাতীয় কিছু ছিল। পুকুরপাড় থেকে দেহ নিয়ে স্থানীয় বাজারে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে দেহ ফেলে রেখে জমায়েত হয়। টায়ার জাতীয় কিছু জ্বালানো হয়। পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম ছিল। তিন-চার জন পুলিশকর্মী স্থানীয় মার্কেট থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে। সেই সময় পুলিশ কম থাকায় দেহ নিয়ে যেতে গিয়ে ছেঁচড়ে যায়। তিন-চার জন পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তদন্ত চলছে।

গত ২০ এপ্রিল এক যুগল নিখোঁজ জানিয়ে পুলিশের কাছে যায় দুই পরিবার। দু-তিন ঘণ্টা তারা নিখোঁজ বলে দুই পরিবারকেই অভিযোগ দায়ের করতে পরামর্শ দেয় পুলিশ। কোনও পক্ষই রাজি হয়নি। তার পরেই পুকুরপাড়ে দেহ দেখতে পায় পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement