Jayanta Singh's House

জায়ান্ট জয়ন্তের ‘হোয়াইট হাউস’ ভাঙা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ

আড়িয়াদহ কাণ্ডে অভিযুক্ত জয়ন্তদের বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। গত ১ জুন বাড়ি ভাঙার নোটিস জারি করে পুরসভা। সাদা বাড়ির কালো রঙের গেটে সাঁটানো নোটিসে লেখা ছিল, ১০ দিনের মধ্যে বাড়ি খালি করতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৫ ১৮:৫৩
Share:

কামারহাটি পুরসভা এলাকায় জয়ন্ত সিংহের প্রাসাদোপম বাড়ি ঘিরে বিতর্ক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

কামারহাটির ‘জায়ান্ট’ জয়ন্ত সিংহের বাড়ি ভাঙা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করতে পারবে পুরসভা। প্রকাশকুমার সিংহ নামে আবেদনে সাড়া দেয়নি। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন করতে পারবেন প্রশান্ত। সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁর বক্তব্য শুনবে।

Advertisement

গত ২০ মে আড়িয়াদহ কাণ্ডে অভিযুক্ত জয়ন্তদের বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি গৌরাঙ কান্তের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই মতো নোটিস জারি করে পুরসভা। জয়ন্তদের সাদা বাড়ির কালো রঙের গেটে সাঁটানো সেই নোটিসে লেখা ছিল, ১০ দিনের মধ্যে বাড়ি খালি করতে হবে। আগামী ১৩ জুন ওই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হবে। পুরসভার ওই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান প্রকাশ নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্য, তিনি ওই বাড়ির বাসিন্দা। নিয়ম মোতাবেক তাঁর বক্তব্য শোনা উচিত পুরসভার। কিন্তু তাঁর কথা না শুনেই পদক্ষেপ করছে পুরসভা।

মূল মামলাকারীর বক্তব্য, ওই বাড়িতে প্রকাশ স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন না। সেখানকার বাসিন্দা হিসাবে তাঁর কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণও নেই। তাঁদের অভিযোগ, অন্য মামলায় জেলে রয়েছেন জয়ন্ত। ভুয়ো বাসিন্দা হিসাবে অন্যকে দাঁড় করিয়ে বেআইনি নির্মাণ বাঁচাতে চাইছেন ‘জায়ান্ট।’ ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রকাশকে সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদন করতে হবে। এই বিষয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন।

Advertisement

সঙ্গত, কামারহাটি এলাকায় একটি ডোবা ভরাট করে জয়ন্ত ওই বাড়ি তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘ দিন ওই এলাকায় দাপট বজায় রাখলেও গত বছর এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় এবং পুলিশ-প্রশাসন জয়ন্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে। তখনই বেআইনি ভাবে নির্মিত এই বাড়ি তৈরির বিষয়টি সামনে এসেছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement