সরব: ভুয়ো লগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে প্রতারিতদের বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার কলকাতায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে। ছবি: সুমন বল্লভ
বিভিন্ন লগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে প্রতারিত বহু আমানতকারী এখনও তা ফেরত পাননি। সেই সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি শেখর ববি সরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। তাদের নির্দেশ, ১৮ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার মুখ্যসচিবকে আদালতে হাজির হতে হবে।
টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে ইতিমধ্যে শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে একটি ওয়েবসাইট খুলতে নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। গত ছ’মাসে সেই বিষয়টি রাজ্যকে একাধিক বার মনেও করিয়ে দেয় উচ্চ আদালত। কিন্তু রাজ্য সরকার এখনও সেই ওয়েবসাইট খুলে উঠতে পারেনি। এ দিন আদালতে ওয়েবসাইটটি খুলে দেখানোর কথা ছিল। তা না-হওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে জানাতে হবে, নির্দেশ সত্ত্বেও ওয়েবসাইট না-খোলার কারণ কী।
আমানতকারীদের আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী ও অরিন্দম দাস জানান, কোন লগ্নি সংস্থার কত সম্পত্তির কত মূল্যায়ন হয়েছে, কত টাকা তারা তালুকদার কমিটির কাছে জমা দিয়েছে— এই সব তথ্যই ওয়েবসাইটে জানাতে বলেছিল কোর্ট। টাকা ফেরত না-পেয়ে বহু আমানতকারীরা মামলা করেছেন। তার শুনানিতে সরকারি আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়েবসাইট চালু হওয়ার প্রমাণ দিতে দেখাতে পারেননি। তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। এ দিন লগ্নি সংস্থা অ্যালকেমিস্টের টাকা ফেরতের মামলায় তারা নির্দেশ দেয়, ১২০ কোটি টাকার যে-শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, ৮ জানুয়ারির মধ্যে তা বিক্রি করে তালুকদার কমিটিকে জানাতে হবে। কোর্টের আরও নির্দেশ, লগ্নি সংস্থা পিনকনের যত মদ বাজেয়াপ্ত করে আবগারি দফতরের কাছে রাখা আছে, তার টাকাও জমা দিতে হবে তালুকদার কমিটির কাছে।