ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের রিপোর্ট চায় হাইকোর্ট

আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, চলতি মরসুমে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গিতে কমবেশি ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত কয়েক হাজার। রাজ্য কী করছে, তা আদালতের জানা দরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯ ০২:২৭
Share:

ফাইল চিত্র।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব আটকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছে তার সবিস্তার রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল বছর চারেক আগে। কয়েক বার তার শুনানি হয় এবং সেই সব শুনানি চলাকালীন ডেঙ্গি মোকাবিলায় আদালত কিছু নির্দেশিকাও দিয়েছিল। কিন্তু ডেঙ্গির দাপট নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। সোমবার ফের সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করন নায়ার ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, শুক্রবার ওই রিপোর্ট দিতে হবে।

Advertisement

২০১৬ সালে ওই মামলা করেন হাইকোর্টেরই আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তিনি এ দিন জানান, ২০১৭-র ডিসেম্বরে হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব আটকাতে একটি নির্দেশিকা তৈরি করে দেয়। তাতে বলা হয়, রাজ্যের যে-সব গ্রামীণ এলাকায় হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই, সেখানে ‘মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট’-এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। সর্বত্র রক্তপরীক্ষার সুযোগ এবং ডেঙ্গির ওষুধেরও ব্যবস্থা করতে বলা হয়। সব হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গি প্রতিরোধের ‘মেডিক্যাল কিট’ মজুত করার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গি নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর কথাও বলা হয় সেই নির্দেশিকায়।

তা সত্ত্বেও ডেঙ্গিতে মৃত্যু বন্ধ না-হওয়ায় সম্প্রতি ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, চলতি মরসুমে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গিতে কমবেশি ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত কয়েক হাজার। রাজ্য কী করছে, তা আদালতের জানা দরকার। ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদারকে নির্দেশ দেয়, ২০১৭ সালের নির্দেশিকা মেনে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা রিপোর্ট আকারে পেশ করতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement