মাছ চুরি ঠেকাতে জলাশয়ে ক্যামেরা

নিগম সূত্রের খবর, কখনও জলাশয় থেকে মাছ তুলে বাজারে বিক্রি করার সময়ে এক শ্রেণির কর্মীদের কারচুপিতে চুরি হয়ে যাচ্ছে মাছ। কখনও মাছকে খেতে দেওয়ার সময়ে খাবারের পরিমাণেও কারচুপি হচ্ছে।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৮ ০২:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে কারচুপিতে নাকাল হননি, এমন ক্রেতা কম। বিভিন্ন জলাশয়ে ঢালাও মাছ চুরিতে নাস্তানুবাদ হতে হচ্ছে রাজ্যের মৎস্য উন্নয়ন নিগমকেও। তাই এ বার বিভিন্ন মৎস্য প্রকল্পকে ক্যামেরার নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে।

Advertisement

নিগম সূত্রের খবর, কখনও জলাশয় থেকে মাছ তুলে বাজারে বিক্রি করার সময়ে এক শ্রেণির কর্মীদের কারচুপিতে চুরি হয়ে যাচ্ছে মাছ। কখনও মাছকে খেতে দেওয়ার সময়ে খাবারের পরিমাণেও কারচুপি হচ্ছে। এই ধরনের চুরি রুখতেই নিগমের পরিচালনাধীন ১৫টি মাছ চাষ প্রকল্পে ‘ওয়েব ক্যামেরা’ বসানো হচ্ছে। ক্যামেরা বসবে সল্টলেকের বিকাশ ভবনে নিগমের সদর দফতরেও। ‘‘বিভিন্ন মৎস্য প্রকল্পে নজরদারির খামতির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মাছ চুরি থেকে শুরু করে জলাশয়ে মাছের খাবার ঠিকমতো না-দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ-সব ঠেকাতে বাংলা নববর্ষ থেকে এই প্রযুক্তির ব্যবহার চালু করছি,’’ বললেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।

নিগমের অধীনে মাছ চাষ হচ্ছে দিঘা, আলমপুর, তাজপুর মোড়, কাটনাদিঘি, নরঘাট, ফ্রেজারগঞ্জ, হেনরি আইল্যান্ড (দু’টি), যমুনাদিঘি, মেমারি, বিষ্ণপুরে। কলকাতার নলবন, গোলতলা আর নিউ টাউনে প্রকল্প আছে। মৎস্য দফতরের সূত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে ফ্রেজারগঞ্জে নিগমের জলাশয়ে চাষ করা ভেনামি চিংড়ি বিক্রির আগেই কারচুরি ধরা পড়ে। নিগমের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ফ্রেজারগঞ্জে নিগমের জলাশয়ে চাষ করা প্রায় ১৭ হাজার কিলোগ্রাম ভেনামি চিংড়ি বিক্রির আগে প্রতিটির গড় ওজন ২৮ গ্রাম হলেও দু’গ্রাম কম করে দেখাচ্ছিলেন এক কর্মী। পাশের প্রকল্পের এক কর্মীর মাধ্যমে সেই কারচুরি ধরা পড়ে। দু’গ্রাম করে কম দেখালে প্রায় দু’লক্ষ টাকা লোকসান হত নিগমের।’’ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌম্যজিৎ দাস জানান, গত আর্থিক বছরে ১৫টি প্রকল্পে মাছ উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১৮০০ মেট্রিক টন। ‘ওয়েব-ক্যামেরা’র মাধ্যমে নজরদারি ব্যবস্থা চালু হলে উৎপাদন বাড়বে আরও ৪০০ মেট্রিক টন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন