Performing arts

ওয়েবিনারে পারফর্মিং আর্টসে কেরিয়ার গড়ার হদিস

সুলুকসন্ধান জেনে নাও আমাদের প্যানেলের অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার এবং শিক্ষাবিদদের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১২:৪৯
Share:

পারফর্মিং আর্টসে কেরিয়ারের হালহদিস জেনে নাও ১৭ সেপ্টেম্বর। ছবি: আরিফ হোসেন

দর্শকদের সামনে পারফর্ম করতে ভালবাসো? বুঝে উঠতে পারছো না নেশাটাকেই পেশা করা উচিত হবে কি না? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পেতে সাইন আপ করো পারফর্মিং আর্টসঃ ইওর প্যাশন অ্যাজ ইওর প্রোফেশন ওয়েবিনারে। এবিপি এডুকেশন আয়োজিত নিখরচার ওয়েবিনার সিরিজ ক্যাম্পাসটুকেরিয়ার ২০২০-তে থাকছে এই আলোচনাচক্র।

Advertisement

কখনঃ ১৭ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৩টে।

কী নিয়েঃ পারফর্মিং আর্টসে কী করে কেরিয়ার গড়া যাবে, তা নিয়ে পরামর্শ।

Advertisement

যা থাকছেঃ পারফর্মিং আর্টসের নানা দিক নিয়ে আলোচনা। জেনে নাও এই জগতে পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগের কথা। নাচতে ভালবাসলে কোরিওগ্রাফি হতে পারে কেরিয়ার; অভিনয়ের শখ থাকলে কী করে ভাল একজন অভিনেতা হয়ে ওঠা যায় এবং তার জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে পারদর্শিতা জরুরি- থাকবে এমন নানা পথের হদিস।

বক্তা যাঁরাঃ

ডঃ ঊর্মিমালা সরকার মুন্সী- অ্যাসোসিয়েট প্রোফেসর, থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্ম্যান্স স্টাডিজ, স্কুল অফ আর্টস অ্যান্ড এস্থেটিকস, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, নয়াদিল্লি। পাঁচ বছর বয়সে উদয় শঙ্কর ইন্ডিয়া কালচার সেন্টারে শিক্ষার্থী হওয়ার পরে স্কুলে থাকতে থাকতেই নাচের দলের সদস্য। কলেজজীবন পর্যন্ত অমলাশঙ্করের সঙ্গে দেশবিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেছেন। পিএইচডি করেছেন নৃতত্ত্বে, স্পেশালাইজেশন ছিল ডান্স স্টাডিজ, ভিস্যুয়াল অ্যানথ্রোপলজি, এবং এথনোগ্রাফিক রিসার্চে। তাঁর সাম্প্রতিক কাজ পাচার বা হিংসার ঘটনা থেকে উদ্ধার পাওয়া মেয়েদের নাচের জগতে পা রাখা এবং লিঙ্গবৈষম্য, শ্রম, ব্যক্তিপরিচিতি ও শ্রেণিবিন্যাসের মতো ক্ষেত্রে পারফর্ম্যান্সের রাজনীতি নিয়ে। ওয়ার্ল্ড ডান্স অ্যালায়েন্স এশিয়া প্যাসিফিক-এর প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন। তাঁর লেখা রিভিজিটিং বিয়িং রামঃ প্লেয়িং এ গড ইন চেঞ্জিং টাইমস বইটির প্রকাশনার দায়িত্বে নিউ ইয়র্কের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। উদয় শঙ্করের জীবন ও নৃত্য নিয়ে তাঁর করা পাণ্ডুলিপিও ছাপার জন্য মনোনীত হয়েছে।

তনুশ্রী শঙ্কর- নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্না নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার; তাঁরই অনুপ্রেরণায় গড়ে উঠেছে তনুশ্রী শঙ্কর ডান্স কোম্পানি। অমলাশঙ্করের কাছে সাত বছর নাচ শেখার পরে স্বতন্ত্র এক নৃত্যশৈলী সৃষ্টি করেন, যা নিজস্ব সঙ্গীতের ধারা তৈরি করে উদয় শঙ্করের শৈলী অবলম্বনে গড়ে ওঠে। বহু নামীদামি আন্তর্জাতিক সম্মেলন, উতসব ও মেগা ইভেন্টে নৃত্য পরিচালনার ভার নিয়েছেন; সৃজনশীল এবং পরীক্ষামূলক নৃত্যচর্চায় তাঁর অবদানের জন্য ২০১১ সালে সম্মানিত হয়েছেন সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারে। শিক্ষাক্ষেত্রে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে অংশ নেন মার্থা গ্রাহাম স্কুল অফ কনটেম্পোরারি ডান্স, অ্যালভিন এলি অ্যামেরিকান ডান্স সেন্টারের মাস্টারক্লাস, যুক্তরাজ্যের বার্মিংহ্যাম ও লিডস-এর উয়োম্যাড ফেস্টিভ্যাল-এর পাঠ কর্মশালা এবং যুক্তরাজ্যেরই ট্রিনিটি লাবান কনজার্ভেটোয়্যার অফ মিউজিক অ্যান্ড ডান্স-এর স্নাতকস্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাসে। তনুশ্রী শঙ্কর ডান্স অ্যাকাডেমি-র প্রধান, অভিনয় করেছেন অপরাজিতা তুমি, হেমন্তের পাখি, দ্য নেমসেক-এর মতো একগুচ্ছ ছবিতেও।

পিয়া চক্রবর্তী- সেক্রেটারি, এইচইডিএস (সঞ্চালক)। একাধারে সমাজতত্ত্ববিদ, সমাজকর্মী এবং গবেষক। বর্তমানে যুক্ত রয়েছেন জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে কাজ করা এনজিও হেলথ অ্যান্ড ইকোডিফেন্স সোসাইটি (এইচইডিএস)-র কর্মকাণ্ডে। সমাজতত্ত্ব ও সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি-র পরে সুইডেনের উমিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সমাজত্তত্ব গবেষণা প্রকল্পে গবেষক হিসেবে যোগ দেন। কাজ করেছেন অভিবাসী পরিচিতি, বহুসংস্কৃতি, শ্রম সংক্রান্ত গবেষণায়। লিঙ্গভেদ, মানসিক স্বাস্থ্য, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সমকালীন রাজনীতির মতো বিষয়ে তাঁর আগ্রহ রয়েছে। গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সোচ্চার শিল্পী, প্রতিবাদী ও শিক্ষাবিদদের নাগরিক মঞ্চ সিটিজেনস্পিকইন্ডিয়া-র সদস্য এবং মুখপাত্র।

মানসী রায়চৌধুরী, কো-চেয়ারম্যান, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ- নিজের দৃঢ়তা, ধৈর্য ও আবেগ দিয়ে পৌঁছেছেন সাফল্যের শিখরে। ক্রীড়াবিদ, ভালবাসেন খেলাধুলো ও বইপড়া, সঙ্গীতজ্ঞও এবং সব কিছুই সামলান পেশাগত ব্যস্ততার সঙ্গেই। ২০১৮ সালে তাঁর নেতৃত্বে টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় জিতে নিয়েছে ব্যবসায়িক উদ্যোগ ও উন্নতির ক্ষেত্রে সেরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিরোপা। তিনি নিজে পেয়েছেন ইস্টার্ন চেম্বার অফ কমার্সের শিপ্রেন্যর সম্মান। কোয়ালিটি ফোরাম অফ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার উন্নতিসাধনের কারণেই এই সম্মানলাভ। দুই সন্তানের মা, ৫০০০ কর্মী ও পড়ুয়াকেও আগলে রাখেন সন্তানস্নেহে। উচ্চমানের শিক্ষাদান নিশ্চিত করা এবং প্রতিষ্ঠানকে আরও বেশি সাফল্য এনে দেওয়াই তাঁর সব সময়ের লক্ষ্য।

সায়নী ঘোষ, অভিনেত্রী

উপস্থিতির শংসাপত্রঃ জুমে সম্পূর্ণ ওয়েবিনারটিতে উপস্থিতির ভিত্তিতে মিলবে এবিপি এডুকেশনের শংসাপত্র। পারফর্মিং আর্টসঃ ইওর প্যাশন অ্যাজ ইওর প্রোফেশন ওয়েবিনারে রেজিস্টার করো এখানে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন