মদন মিত্রকে জেরার পর হাসপাতালে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার অরুণ লোধের তোলা ছবি।
তৃণমূলের কোন কোন প্রভাবশালী নেতার কাছে সারদার টাকা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের কাছে ফের তা জানতে চাইল সিবিআই। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অবশ্য এ দিন শেষ হয়নি। আজ, শুক্রবার ফের মন্ত্রীকে জেরা করা হতে পারে বলে ব্যুরো-সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, এর আগে সারদা-মামলায় গ্রেফতার মদনবাবুকে দু’দফায় মোট পাঁচ দিন নিজেদের হেফাজতে রেখে জেরা করেছিল সিবিআই। পরে তারা আলিপুর জেলে গিয়েও মন্ত্রীকে এক প্রস্ত জেরা করে।
আর এ বার হাসপাতালেই চলল জেরার পালা। এ দিন বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ সিবিআইয়ের দুই অফিসার এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে এসে হাজির হন, যা কিনা গত ছ’মাস যাবৎ পরিবহণমন্ত্রীর ঠিকানা। এসএসকেএমের মেডিক্যাল টিম মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা যাচাই করে জেরার অনুমতি দেয়। টিমের ডাক্তারেরা অবশ্য সিবিআই’কে এ-ও জানিয়ে দেন, মদনবাবু নিউমোনিয়ায় ভুগছেন। তাই জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন তিনি শারীরিক অসুবিধের কথা বললেই জেরা বন্ধ করে দিতে হবে।
সিবিআইয়ের দুই অফিসার— ফণিভূষণ করণ ও তথাগত বর্ধন তাতে রাজি হন। বেলা একটা নাগাদ তাঁরা মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। কাজ সেরে পৌনে তিনটে নাগাদ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান।
সিবিআই-সূত্রের খবর, সারদার টাকা তৃণমূলের কোন কোন প্রভাবশালী নেতার কাছে গিয়েছিল, মদন-ঘনিষ্ঠ প্রয়াত মহিলা আইনজীবী সারদার থেকে কী কী সুবিধে পেয়েছিলেন, এমন কিছু প্রশ্ন এ দিন মন্ত্রীর সামনে রাখা হয়েছিল। ‘‘তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, সারদার টাকা মদন মিত্রের হাত ঘুরে তৃণমূলের বেশ কয়েক জন প্রভাবশালী নেতার কাছে গিয়েছিল। সে ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’’— বলেন ব্যুরোর এক কর্তা। ওঁদের দাবি, মদনবাবু এ দিন তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতাই করেছেন। যদিও সিবিআইয়ের জেরা প্রসঙ্গে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
এ দিকে সুদীপ্ত সেন এবং তাঁর দুই সংস্থা সারদা কনস্ট্রাকশন ও সারদা রিয়েলটির বিরুদ্ধে এ দিনই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ও ৪০৯ ধারায় ফের চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তদন্তকারীদের তরফে ওই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।