নানা ধরনের যন্ত্রপাতি খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে দেখিয়েছিল হিমঘর। সব যন্ত্রপাতিই বিমা করা। সেগুলো মেরামত বা বদল করতে তিনটি বিমা সংস্থার কাছ থেকে তোলা হয় প্রায় চার কোটি টাকা। বিমা সংস্থাকে ঠকানোর অভিযোগ ওঠায় তদন্তে নামে সিবিআই। বৃহস্পতিবার রাজ্যের ৩৭টি জায়গায় হানা দেয় সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ, নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসিওরেন্স, জেনারেল ইনসিওরেন্স এবং ওরিয়েন্টাল ইনস্যুসিওরেন্স— এই তিন সরকারি বিমা সংস্থাকে ঠকিয়েছেন রাজ্যের ৭-৮টি হিমঘরের মালিকেরা। হিমঘরগুলির কোনওটা পশ্চিম মেদিনীপুরে, কোনওটা বীরভূম, কোনওটা বহরমপুরের। সিবিআই সূত্রে খবর, যন্ত্রপাতি খারাপ হয়নি। খাতায়-কলমে সেগুলিকে খারাপ দেখিয়ে টাকা তোলা হয়েছে। যাঁরা সেই যন্ত্রপাতি ‘সারিয়েছেন’, সেই মেকানিক ও ইঞ্জিনিয়ারের তরফে যে-বিল পেশ করা হয়, তা জাল বলে জানায় সিবিআই। তাঁদের অস্তিত্বও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যন্ত্র খারাপের বিশ্বাসযোগ্য কোনও নথি মেলেনি। এই ঘটনায় বিমা সংস্থার অফিসার এবং সার্ভেয়ারেরাও জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ওই অফিসারের বাড়ি এবং হিমঘর ও তার মালিকদের বাড়িতেই এ দিন হানা দেয় সিবিআই। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।