ভবিষ্যতে আইআইটিতে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করা ইচ্ছা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌমাদিত্য চন্দ্র। —নিজস্ব চিত্র।
সিবিএসই পরীক্ষায় নিজের প্রত্যাশা মতোই নম্বর পেয়েছেন। শুক্রবার এই বোর্ডের ফলাফল প্রকাশের পর এমনই জানালেন হাওড়ার আন্দুল দুইল্যার সৌমাদিত্য চন্দ্র। ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯১ নম্বর পেয়েছেন তিনি।
সৌমাদিত্য জানিয়েছেন, অঙ্কে ১০০, ইংরেজিতে ৯৯, পদার্থবিদ্যায় ৯৭, রসায়নে ৯৮ এবং কম্পিউটারে ৯৭ নম্বর পেয়েছেন। কোভিডের কারণে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা দিতে পারেননি বরাবরের মেধাবী ছাত্র সৌমাদিত্য। স্বাভাবিক ভাবেই সে জন্য খেদ ছিল তাঁর। তবে সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়ে সুদে-আসলে নম্বর তুলে নিয়েছেন। সৌমাদিত্য বলেন, ‘‘প্রাইভেট টিউটর না থাকলেও একটি বেসরকারি কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করতাম। প্রত্যাশা অনুযায়ীই নম্বর পেয়েছি।’’ স্কুলের শিক্ষকের পাশাপাশি ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষকেরা যে তাঁকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন, তা জানিয়েছেন সৌমাদিত্য। এই সাফল্য মা-বাবা এবং শিক্ষকদের উৎসর্গ করতে চান তিনি।
পড়াশোনার নির্দিষ্ট সময় না থাকলেও যখনই ভাল লাগত, পড়তে বসতেন বলে জানিয়েছেন সৌমাদিত্য। ভবিষ্যতে আইআইটিতে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করা ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। পড়াশোনার ফাঁকে ফুরসত পেলে গল্পের বই পড়তে ভালোবাসেন।
ছেলের এই ফলাফলে যারপরনাই আপ্লুত মা শর্মিষ্ঠা চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘‘ছেলের এই সাফল্যে খুবই খুশি। আমার ছেলে আলুভাজা খেতে ভালোবাসে। তাই আজ একটু বেশি করে আলুভাজা করেছি। ছেলে যা ভালবাসে তা নিয়েই পড়াশোনা করুক, এটাই মনেপ্রাণে চাই। কোনও কিছু জোর করে চাপিয়ে দিতে চাই না।’’
সৌমাদিত্যের বাবা উত্তরবঙ্গের একটি চা বাগানের ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত। গোটা পরিবার এখন অপেক্ষা করছে, কবে গৃহকর্তা বাড়ি ফেরেন। তখন জমিয়ে আনন্দ হবে!