আইকোর

হিরে-গয়নার পাহারায় ৮ পুলিশ, সিসিটিভিও

তল্লাশি চালিয়ে গয়না তো উদ্ধার হল, কিন্তু সেগুলো রাখা হবে কোথায়? আপাতত সেই চিন্তাতেই কপালে ভাঁজ সিআইডির। বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থা আইকোরের একটি শপিং মল থেকে সাড়ে তিন কিলোগ্রাম সোনা ও হিরের গয়না উদ্ধার করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফার তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪০ কিলোগ্রামের বেশি রুপোর গয়নাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৫ ০৩:৩৩
Share:

তল্লাশি চালিয়ে গয়না তো উদ্ধার হল, কিন্তু সেগুলো রাখা হবে কোথায়? আপাতত সেই চিন্তাতেই কপালে ভাঁজ সিআইডির। বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থা আইকোরের একটি শপিং মল থেকে সাড়ে তিন কিলোগ্রাম সোনা ও হিরের গয়না উদ্ধার করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফার তল্লাশিতে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪০ কিলোগ্রামের বেশি রুপোর গয়নাও। সিআইডি সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে আদালতের নির্দেশ নিয়ে কোনও সরকারি ব্যাঙ্ক বা ট্রেজারিতে সেগুলি রাখা হবে। কিন্তু তার আগে?

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, আপাতত ভবানী ভবনের চারতলার ‘স্ট্রং রুম’-এই রাখা হয়েছে কয়েক কোটি টাকার গয়নাগাটি। শনিবার একটি সরকারি সংস্থাকে দিয়ে সেগুলি পরীক্ষাও করানো হয়েছে। স্ট্রং রুমের বাইরে কড়া প্রহরা মোতায়েন রেখে এখন অপেক্ষা শুধু আদালতের নির্দেশের।

শনিবার ভবানী ভবনে গিয়ে দেখা গিয়েছে, চারতলার কোণার দিকে একটি তালাবন্ধ ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে দুই গোয়েন্দা অফিসার। সঙ্গে আট-আট জন কনস্টেবল। সকলেই সজাগ পাহারায়। বাইরে লাগানো সিসিটিভি। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাজেয়াপ্ত গয়নাগাটি ঘরে তালাবন্ধ করে রাখার আগে সেগুলির ছবি তোলা হয়েছে। সূত্রের খবর, এত গয়না কেন অফিসে রাখা হয়েছিল, কোথা থেকেই বা সে সব সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা জানতে ওই সংস্থার এমডি অনুকূল মাইতিকে ফের নিজেদের হেফাজতে নেবে সিআইডি।

Advertisement

গোয়েন্দারা জানান, অনুকূলবাবু অফিসে বসে মাঝেমধ্যেই কাপড়ের গাঁটরি খুলে ওই সব গয়না এজেন্ট ও আমানতকারীদের দেখাতেন। কেউ সংস্থার আর্থিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুললেই ওই গয়না দেখিয়ে আশ্বস্ত করতেন অনুকূলবাবু। পুলিশ সূত্রের খবর, আইকোরের ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে রাজ্যে ২৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। অধিকাংশই দায়ের হয়েছে অনুকূলবাবু গ্রেফতার হওয়ার পরে। এক সিআইডি কর্তা বলেন, ‘‘এমডি-র গ্রেফতারের পরে আমানতকারীদের আশ্বস্ত করতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল লগ্নি সংস্থা। কিন্তু বিজ্ঞাপন দেখে আমানতকারীরা সংস্থার অফিসে যোগাযোগ করলে দেখা যায় সেটি তালাবন্ধ। এর পরেই তাঁরা ফের পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন