চন্দ্রিমাকে ঘিরে ক্ষোভ মালদহ মেডিক্যালে

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কৌশিক ভট্টাচার্য, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রতীপকুমার কুণ্ডু, সহ অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৈয়দ শাহাজান নিজাম-সহ স্বাস্থ্য দফতরের ব্লক স্তরের আধিকারিকেরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২১
Share:

পরিদর্শন: মালদহ মেডিক্যালে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃ-মা বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে শতাধিক রোগীর আত্মীয়-পরিজন। এ দিনই স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মাতৃ-মা বিভাগ পরিদর্শনে যান রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পরিদর্শন করে বেরোতেই মন্ত্রীকে দেখতে পেয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ তুলে হইচই শুরু করে দেন রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের একাংশ। তাঁদের সঙ্গে কথা না বলেই বেরিয়ে যান চন্দ্রিমা। পরে জেলাশাসককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলে তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় হাসপাতালে।

Advertisement

এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ হাসপাতালে আসেন চন্দ্রিমা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কৌশিক ভট্টাচার্য, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রতীপকুমার কুণ্ডু, সহ অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৈয়দ শাহাজান নিজাম-সহ স্বাস্থ্য দফতরের ব্লক স্তরের আধিকারিকেরাও। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বৈঠক হয়। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে রোগীর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। জেলা ছাড়াও দুই দিনাজপুর এবং বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকেও রোগীরা এখানে চিকিৎসার জন্য আসছেন। এমন অবস্থায় জেলার ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতালগুলি থেকে সামান্য কারণে রোগীদের মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। সেই রেফার নিয়ে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

বৈঠকের পরেই পরিদর্শনে যান নবনির্মিত মাতৃ-মা বিভাগে। সেখানে প্রসূতিদের সঙ্গে কথা বলেন চন্দ্রিমা। মন্ত্রীকে দেখতে পেয়েই হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তুলে হইচই শুরু করে দেন রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের একাংশ। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। যদিও বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলেননি চন্দ্রিমা। পরে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন জেলাশাসক। কালিয়াচকের বাসিন্দা রবিউল শেখ বলেন, “আমার স্ত্রীর বাচ্চা হয়েছে। চারদিন ধরে ভর্তি। কিন্তু চিকিৎসকেরা ঠিকমতো ওকে দেখছেন না। এমনকী, হাসপাতালের কর্মীরা ট্রলি, শিশুকে দেখভালের জন্য ৫০০ টাকা করে চাইছেন।” মনসুর মিঁয়া বলেন, “এক শয্যায় দু’জন, তিনজন করে রোগী। শয্যার চাদর নিয়মিত বদলানো হয় না। এ দিন মন্ত্রী আসায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। ঘটনাটি আমরা মন্ত্রীকে বলতে চেয়েছিলাম।”

Advertisement

জেলাশাসক বলেন, “হাসপাতালে প্রচুর রোগীর চাপ রয়েছে। শয্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে মেটানো হবে।” তবে এ দিনের বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে আরও পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে পঠন-পাঠন শুরু হচ্ছে। আর ছ’টি প্রস্তাব আকারে রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন