কাজ: উচ্ছেদ অভিযানের পরে। নিজস্ব চিত্র
সৌন্দর্যায়নের জন্য হল উচ্ছেদ অভিযান। যা ঘিরে নিউ দিঘায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়াল।
প্রশাসন সূত্রের খবর, নিউ দিঘা জুড়ে সৌন্দৰ্য্যায়নের কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। দিঘা থেকে উদয়পুর যাওয়ার পথে দত্তপুর লাগোয়া এলাকায়ও সেই কাজ হচ্ছে। কিন্তু সেখানে পাঁচটি পরিবার সরকারি জমি জবরদখল করে বসবাস করছে বলে অভিযোগ। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে তাদের সেখান সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। শুক্রবার তাদের উঠে যাওয়ার সময় সীমা শেষ হয়। কিন্তু সেই পরিবারগুলি ওঠেনি।
এর পরে শুক্রবার স্থানীয় পঞ্চায়েত আধিকারিকদের নিয়ে সেখানে যান বিধায়ক অখিল গিরি। তিনি পাঁচটি পরিবারের সদস্যদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করন। এতেই ঝামেলা হয়। ওই পাঁচ পরিবারের সদস্যরা বিধায়ককে জানান, তাঁরা কয়েক পুরুষ ধরে সেখানে বাস করছেন। উঠিয়ে দিলে কোথায় যাবেন? এক সদস্য বলেন, “আমরা কয়েক পুরুষ এখানে বাস করছি। নতুন বাড়ি করে সরে যাওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক।’’
বিধায়ক সেই পাঁচটি পরিবারকে স্থানীয় পদিমা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তারপরই পরিবারগুলি সরে যায়। শুরু হয় জবর দখল করা নির্মাণ ভাঙার কাজ। বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, “সরকারি প্রকল্পের কাজ হবে। তাই ওই পরিবারগুলিকে সরানোর দরকার ছিল। কিন্তু ওঁরা খুব গরিব। পঞ্চায়েত থেকে বাড়ি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।।’’
বিধায়কের সঙ্গে এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিতাইচরণ সার, পদিমা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কেয়া দোলাই এবং উপ প্রধান কল্যাণ জানা।