পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
প্রয়োজনে হাজার বার দেখতে হবে। কিন্তু মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রে যাতে কোনও রকম ভুল থেকে না-যায়, সেটা নিশ্চিত করতেই হবে। সোমবার বিকাশ ভবনে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিকের ‘টেস্ট পেপার’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে এ ভাবেই সতর্ক হতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
২০১৮ সালের মাধ্যমিকে হিন্দির প্রশ্নপত্রে পাঠ্যক্রমের বাইরে থেকে ১২ নম্বরের প্রশ্ন এসেছিল বলে অভিযোগ। গণিতেও পাঁচ নম্বরের প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক হয়। সে-ক্ষেত্রে যাঁরা প্রশ্নপত্র তৈরি করেন, প্রশ্ন ওঠে তাঁদের ভূমিকা নিয়েই। পার্থবাবু এ দিন বলেন, ‘‘যাঁরা প্রশ্নপত্র তৈরি করেন এবং যাঁরা সেটা দেখেন, তাঁদের সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে হাজার বার দেখতে হবে। কিন্তু কোনও ভাবেই যেন প্রশ্নপত্রে কোনও রকম ভুল না-থাকে।’’
শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, বিজ্ঞাপনে যে-সব সংস্থা দাবি করে, তাদের টেস্ট পেপার-সাজেশন পড়লেই উতরে যাবে, সেটা সব সময় ঠিক নয়। শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শ, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদের টেস্ট পেপারকে গীতা, কোরান, বাইবেল মনে করলেই হবে।’’ তিনি জানান, কোনও কোনও বিজ্ঞাপনে পর্ষদের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। ‘‘আমি বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে এ-সব দেখেছি। এ ভাবে সরকারি কোনও প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার কিন্তু ঠিক হচ্ছে না,’’ বলেন পার্থবাবু।