—ফাইল চিত্র।
গত বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটের সময়ে গোলমাল পাকানোয় অভিযুক্তদের ক’জনের শাস্তি হয়েছে? মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার এই প্রশ্নে ‘অস্বস্তি’তে পড়েন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিশ প্রধান। সূত্রের খবর, ওই প্রশ্নের তৎক্ষণাৎ কোনও জবাব দিতে পারেনি নবান্ন। ডিজি বীরেন্দ্রের কাছ থেকে সাজাপ্রাপ্তদের তালিকা নিয়ে তা নির্বাচন সদনে পাঠানোর জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাবকে নির্দেশ দিয়েছেন অরোরা।
আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে কমিশন। সেখানে নবান্নের তিন শীর্ষকর্তা ছাড়াও আয়করের ডিজি (অনুসন্ধান) এবং আবগারি কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। দিল্লিতে কমিশনের সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা।
ভিডিয়ো কনফারেন্সে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তোলেন অরোরা। মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। এর পরেই অরোরা জানতে চান, ২০১৪ ও ২০১৬ সালের লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে যারা
গোলমাল পাকিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বীরেন্দ্র জানান, গত লোকসভা ভোটে ১১০০ জন আর বিধানসভা ভোটে প্রায় এক হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রেই ৯০ শতাংশ মামলায় চার্জশিট জমা পড়েছে। তখন অরোরা জানতে চান, কত জনের সাজা হয়েছে। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাব নবান্নের কর্তারা দিতে পারেননি বলেই খবর।
এর পরই সাজাপ্রাপ্তদের তালিকা ডিজির কাছ থেকে নিয়ে তা দিল্লিতে পাঠানোর জন্য সিইও-কে নির্দেশ দেন কমিশনার। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে যে সব জায়গায় গোলমাল হয়েছিল, সেখানে পরিস্থিতি সামলাতে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, তা-ও স্থির করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এ ক্ষেত্রে জেলাশাসকদের নিয়ে একটা কো-অর্ডিনেশন সেল গড়তে বলা হয়েছে।