কাজ কতটা বাকি, খোঁজ বিশ্ববাংলার

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আঁটোসাঁটো। প্রত্যেকটা মোড়ে ছিলেন পুলিশের শীর্ষকর্তা, পুলিশকর্মী, আধা সেনাবাহিনী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা।

Advertisement

দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায়

বোলপুর শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৮ ০২:১৮
Share:

ফাইল ছবি।

আড়াই মাসের মধ্যে আরও একবার চব্বিশ ঘণ্টার সফরে জেলা ঘুরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার গুসকরায় প্রশাসনিক বৈঠক সেরে বিকেল পাঁচটা নাগাদ সড়কপথে বোলপুর ঢোকেন। এর পরে সোজা চলে যান রাঙাবিতানে। বুধবার পৌনে একটা নাগাদ আসেন বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে। সেখানেই হয় প্রশাসনিক বৈঠক। এর মধ্যেই গীতাঞ্জলির পিছনে যে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছিল, সেখানে হেলিকপ্টার চলে আসে। এরপর ২ টো ১০ নাগাদ বৈঠক শেষ করে হেলিকপ্টারে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার উদ্দেশে রওনা হন।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আঁটোসাঁটো। প্রত্যেকটা মোড়ে ছিলেন পুলিশের শীর্ষকর্তা, পুলিশকর্মী, আধা সেনাবাহিনী ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। গীতাঞ্জলির আগে-পরে দু’পাশের বেশ কিছুটা এলাকা বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছিল। কোনও ভাবেই দুটি বাঁশের মধ্যে দিয়ে কেউ যাতে বেরোতে না পারেন, তাই ফাঁক রাখা হয়েছিল কম। বীরভূম জেলার প্রত্যেকটি থানার পুলিশ কর্তারাই ছিলেন। কিছু রাস্তা একমুখী করা হয়েছিল। যেহেতু বুধবার মাধ্যমিকের একটি অতিরিক্ত বিষয়ের পরীক্ষা ছিল, তাই বিশেষ ক্ষেত্রে কোনও যানবাহনে পরীক্ষার্থী থাকলে একমাত্র সেগুলিকেই ছেড়ে দেওয়া হয়।

লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল ইসলাম বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ। এ দিনের প্রশাসনিক সভায় আলাদা ভাবে মণিরুলের নাম করে কেমন আছেন, তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তবে নির্বাচনের জন্য জনসাধারণ যাতে কোনও প্রকল্প থেকে বাদ না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘নির্বাচন তো প্রতি বছরই হচ্ছে। কিন্তু, নির্বাচন হলেও যাতে উন্নয়নমূলক কোনও কাজ বন্ধ না থাকে, সে দিকে নজর দিতে বলেছেন দিদি।’’

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাও। শিবপুরের জমিতে এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন তিনি। এর আগে ২০১৭ ডিসেম্বরে বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এসে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, ‘‘শিবপুরের তিনশো একর জমিতে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ই হবে।’’ এ দিনের বৈঠকে কাজ কত দূর এগিয়েছে সে প্রসঙ্গ জানতে চান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হলে জেলা আরও ঝলমল করবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন