পাসপোর্টে নাম পু ওয়াং। আধার কার্ডে রেঞ্জার ওয়াং। পাসপোর্টে চিনা নাগরিক। আধার কার্ড অনুযায়ী শিলিগুড়ির জ্যোতিনগরের বাসিন্দা। এহেন এক ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার পর বড় প্রশ্ন, চিনা নাগরিক রাতারাতি আধার কার্ড পেল কী করে?
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘রাতারাতি কারা এমন জাল কার্ড বানাচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব খুঁজে বার করতে হবে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ মে কলকাতার বিমানবন্দর হয়ে ভারতে ঢোকে পু। পরদিন সকালের বিমান ধরে পাসপোর্ট দেখিয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছে হিলকার্ট রোডের একটি হোটেলে ওঠেন। বিধি অনুযায়ী, সব হোটেলে অতিথিদের বিশেষত ভিনদেশি নাগরিকদের তথ্য আলাদা করে এসবি-র গোয়েন্দাদের কাছে পাঠাতে হয় হোটেলকে। গোড়ায় পু-এর ব্যাপারে সন্দেহ হয়নি গোয়েন্দাদের। কিন্তু ১৬ জুন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশারেটের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) গোয়েন্দারা নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখতে পান, সেবক রোডের একটি হোটেলে রেঞ্জার ওয়াং নামে একজন ভারতীয় উঠেছেন। তিনি আধার কার্ড জমা দিয়েছেন। গোয়েন্দারা ছবি মেলাতে গিয়ে লক্ষ করেন, পু-এর ছবিই রেঞ্জারের আধার কার্ডে রয়েছে। পরদিন পু, গণেশ ভট্টরাই ও বাপ্পাই আগরওয়াল নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। গণেশ নেপালের নাগরিক। এক বছর ধরে প্রধাননগরে ভাড়া থাকেন। বাপ্পাই পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।