সত্য খুনে জেরা তৃণমূল কর্মীকে

সিআইডি সূত্রের খবর, শুক্রবার বছর পঞ্চান্নের কিরণকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়। উজ্জ্বলকে জেরা করা হয় প্রায় তিন ঘণ্টা। তাঁকে মূল অভিযুক্ত, ধৃত অভিজিৎ পুণ্ডারীর সামনে বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। উজ্জ্বল নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন। 

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ০১:৩২
Share:

—ফাইল চিত্র।

সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মী ও তাঁর বাবাকে ভবানী ভবনে ডেকে দীর্ঘ সময় ধরে জেরা করল সিআইডি।

Advertisement

ওই তৃণমূল কর্মীর নাম উজ্জ্বল বিশ্বাস। বাবার নাম কিরণ বিশ্বাস। বাড়ি হাঁসখালির দক্ষিণপাড়ায়। ওই এলাকাতেই উজ্জ্বলের মাইকের দোকান রয়েছে।

সিআইডি সূত্রের খবর, শুক্রবার বছর পঞ্চান্নের কিরণকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়। উজ্জ্বলকে জেরা করা হয় প্রায় তিন ঘণ্টা। তাঁকে মূল অভিযুক্ত, ধৃত অভিজিৎ পুণ্ডারীর সামনে বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। উজ্জ্বল নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন।

Advertisement

সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান চলার সময়ে পুজোমণ্ডপের সামনে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। তাঁকে একেবারে কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় একদা বগুলা শ্রীকৃষ্ণ কলেজে টিএমসিপি নেতা, পরে বিজেপির দিকে ঘেঁষা অভিজিৎ পুণ্ডারী-সহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তারা সকলেই বিজেপির। বিজেপির এক জেলা পরিষদের প্রার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মকুল রায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তো আছেই।

কিন্তু তৃণমূল কর্মী ও তাঁর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল কেন? উজ্জ্বলের বক্তব্য, “আমার বাবা অভিজিৎদের জমিতে দিনমজুরের কাজ করতেন। সেই কারণেই কিছু জানে কি না তা যাচাই করছিল সিআইডি।” সিআইডি সূত্রের দাবি, উজ্জ্বলকে অভিজিৎ পুণ্ডারীর সামনে বসিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাকে চেনে কি না? তার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল কি না। উজ্জ্বলের দাবি, “অভিজিৎ ‘না’ বলেছে। আমরা যে কোনও ভাবেই জড়িত নই, সিআইডি বুঝেছে।”

তবে সত্যজিৎ ঘনিষ্ঠদের একটি অংশের দাবি, অভিজিৎ জেরায় কিরণ বিশ্বাসের নাম বলাতেই তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিআইডি। বিধায়কের ছায়াসঙ্গী ছোট ভাই সুমিত বিশ্বাস অবশ্য দাবি করেন, “কিরণ বিশ্বাসেরা যে কোন দল করে, বলা কঠিন। কারণ কোনও দিনই তাদের সক্রিয় ভাবে তৃণমূল করতে দেখিনি। যদি তৃণমূল করেও থাকে, সক্রিয় ছিল না।”

বিজপির নদিয়া দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু ভৌমিক পাল্টা বলেন, “বাবা-ছেলে দু’জনেই তৃণমূল কর্মী। সিআইডি যদি ঠিক তদন্ত করে, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসবে। প্রমাণ হয়ে যাবে, বিজেপিকে ফাঁসানো হচ্ছে।” জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “তদন্তের স্বার্থে পুলিশ বা সিআইডি অনেককেই তথ্য জানার জন্য ডাকে। সেটাই করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন