শিশু চুরি মামলায় জেরা কৈলাসকে

জলপাইগুড়ির হোমে শিশু চুরি মামলায় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে জেরা করল রাজ্যের সিআইডি। রবিবার সিআইডির একটি দল ইনদওরে তাঁর কাছে যায়। তবে জেরায় শিশু পাচার সংক্রান্ত কী তথ্য মিলেছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সিআইডি কর্তারা৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩০
Share:

জলপাইগুড়ির হোমে শিশু চুরি মামলায় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে জেরা করল রাজ্যের সিআইডি। রবিবার সিআইডির একটি দল ইনদওরে তাঁর কাছে যায়। তবে জেরায় শিশু পাচার সংক্রান্ত কী তথ্য মিলেছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সিআইডি কর্তারা৷

Advertisement

ইনদওর হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, জেরার দরকার হলে যোগাযোগ করতে হবে ইনদওর পুলিশের সঙ্গে। তারাই জেরার ব্যবস্থা করে দেবে। সিআইডি সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশ নিয়েই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে জেরা করেন গোয়েন্দারা৷

সূত্রের খবর, জেরায় কৈলাস দাবি করেন, ‘‘জুহিকে চিনি না। হোমের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার মতো কোনও কাজের জন্য আমি কাউকে ফোন করিনি, কিছু বলিওনি।’’ তাঁর আরও দাবি, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতে শিশু চুরির মামলায় তাঁর নাম জড়াচ্ছে। কৈলাসের পাল্টা অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল জমি হারাচ্ছে, তাই ভয়ে বিজেপি নেতাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

Advertisement

২০১৫-র অগস্টে চন্দনা চক্রবর্তীর হোমে শিশুদের দত্তক প্রক্রিয়া নিয়ে নানা অনিয়ম নজরে আসে জলপাইগুড়ি সিডব্লিউসি-র বর্তমান কমিটির সদস্যদের৷ বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে একাধিক বার অভিযোগ জানান তাঁরা৷ ২০১৭-র জানুয়ারিতে বিষয়টির তদন্তভার সিআইডির হাতে দেওয়া হয়৷ তার পরেই ফেব্রুয়ারিতে চন্দনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ঘটনায় বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী-সহ আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ মে মাসে আদালতে পেশ করা সিআইডি-র চার্জশিটে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নাম ছিল৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন