বিজেপি ঠেকাতে সিটুর অস্ত্র বসুই

প্রয়াত জ্যোতি বসুর ভাবমূর্তিকেই বিজেপি মোকাবিলায় আবার সামনে আনতে চাইছে সিপিএম। এ বার থেকে দলের শ্রমিক সংগঠনের আয়োজনে বসুর জন্মদিনকে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দিবস’ হিসেবে রাজ্য জু়ড়ে পালন করতে চলেছে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ০৪:৪১
Share:

জ্যোতি বসু

আশির দশকে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর হত্যার পরে শিখ-বিরোধী হিংসা বা নব্বই দশকের গোড়ায় পি ভি নরসিংহ রাওয়ের আমলে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জেরে উদ্ভুত ঘটনা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাংলায় কড়া হাতে পরিস্থিতি সামলেছিলেন তিনি। সেই প্রয়াত জ্যোতি বসুর ভাবমূর্তিকেই বিজেপি মোকাবিলায় আবার সামনে আনতে চাইছে সিপিএম। এ বার থেকে দলের শ্রমিক সংগঠনের আয়োজনে বসুর জন্মদিনকে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দিবস’ হিসেবে রাজ্য জু়ড়ে পালন করতে চলেছে তারা।

Advertisement

জীবদ্দশায় জন্মদিন পালনের রেওয়াজ সিপিএমে নেই। আবার মৃত্যুর পরেও মুজফ্ফর আহমেদের (কাকাবাবু) মতো কোনও কোনও বিশেষ নেতার জন্মদিনই পালন করা হয় আনুষ্ঠানিক ভাবে। প্রয়াত বসুর জন্মদিনে সিপিএম কেন্দ্রীয় ভাবে কোনও অনুষ্ঠান না করলেও দলের নানা শাখা ও সহযোগী সংগঠন ওই দিনে নানা কর্মসূচি নেয়। এ বার ৮ জুলাই, বসুর ১০৫তম জন্মদিন থেকে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দিবস’ পালন শুরু করছে সিটু। রাজ্য জুড়়ে মেরুকরণের রাজনীতি এবং বিজেপির উত্থানের প্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে সিপিএম সূত্রের ব্যাখ্যা।

বাবরি ধ্বংসের দিন ৬ ডিসেম্বরই সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী কর্মসূচি নেয় বামেরা। এ বার ৮ জুলাইও কেন? সিটুর রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সাম্প্রদায়িকতাই এখন বড় বিপদ। আর দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী আন্দোলনে জ্যোতিবাবুই অন্যতম মুখ। বাবরি ধ্বংসকে তিনিই ‘বর্বরোচিত’ আখ্যা দিয়েছিলেন। তাই তাঁর জন্মদিনেই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দিবস পালন করতে চাই।’’ রাজ্য জুড়ে ছোট ছোট সভা-সমাবেশ ছা়ড়াও ওই দিনে রক্তদান ও স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করে জনতার কাছে পৌঁছতে চায় সিটু।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন