অমিত শাহের সভা নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে কোচবিহারে।
আগামী ৭ ডিসেম্বর কোচবিহার থেকে রথযাত্রার ডাক দিয়েছে বিজেপি। উদ্বোধন করার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। বিজেপির অভিযোগ, ওই সভা আটকাতে তৃণমূল প্রশাসন ও পুলিশকে মাঠে নামিয়েছে এবং সভার মাঠ ব্যবহারের অনুমতির ক্ষেত্রেও ছক কষে সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, মাঠের সমস্যা বিজেপির নিজেদের তৈরি করা। সতর্ক পুলিশ-প্রশাসনও।
মঙ্গলবার কোচবিহারে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “পরিকল্পিতভাবে রথযাত্রা বন্ধ করার চেষ্টা শুরু করেছে তৃণমূল। কিন্তু, কোনও ভাবেই ওই সভা আটকানো যাবে না।” তিনি জানান, প্রয়োজনে ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা মাঠ থেকে কর্মসূচি শুরু করা হবে। তেমন দুটি মাঠও তাঁদের নজরে রয়েছে। তবে এখনই তাঁরা তা প্রকাশ্যে আনতে চান না বলে দাবি। বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “যে কোনও মূল্যে অমিত শাহের সভা কোচবিহারে হবে। পুলিশ ও প্রশাসন অনুমতি না দিলেও আমরা সভা করব।”
পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “একবার বলছেন মাঠ পাচ্ছেন না। আবার বলছেন ব্যক্তিগত মালিকানায় মাঠ পেয়েছেন। আসলে ওই সভায় লোক হবে না বুঝতে পেতেই এমন আবোলতাবোল বলে প্রচারে আসতে চাইছে বিজেপি।” সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “কোচবিহার থেকে একমাত্র মদনমোহনের রথযাত্রা বের হয়। অন্য কোনও রথযাত্রা করার চেষ্টা করলে জবাব মানুষই দেবেন।”
বিজেপি সূত্রে খবর, রথযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে প্রচার শুরু হলেও কর্মী-সমর্থকদের কোথায় হাজির হতে বলা হবে তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারছেন না দলীয় নেতৃত্ব। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, রাজবাড়ি স্টেডিয়াম, হরিণচওড়া ফুটবল খেলার মাঠ, বাবুরহাট বাজারের মাঠ, বাবুরহাটেরই একটি স্কুলের মাঠ এবং নিউ কোচবিহারে রেলের মাঠ— এই পাঁচটি মাঠ তাঁরা চেয়েছেন। তবে বিজেপি কর্মীদেরই অনেকের প্রশ্ন, চারটি মাঠ রাজ্য সরকারের হলেও রেলের মাঠ কেন পাওয়া যাবে না। বিজেপি জানিয়েছে, ওই মাঠে রেল রাজনৈতিক সভার অনুমতি দেয় না।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “আমাদের কিছু করণীয় নেই। মাঠের অনুমতি পাওয়ার পরই প্রশাসনের অনুমতির বিষয়।”