নতুন করে আর গোলমাল ছড়ায়নি বটে, তবে শুক্রবারও চাপা আতঙ্ক ছিল বসিরহাট জুড়ে। অফিস-কাছারি-স্কুল-কলেজ খোলেনি। কয়েকটি ট্রেন চললেও বাস চলেনি। বাদুড়িয়া, স্বরূপনগরের পরিস্থিতি অবশ্য মোটের উপরে স্বাভাবিকই ছিল। বসিরহাট-সহ বাকি এলাকাগুলিতেও শান্তি মিছিল, বৈঠক শুরু হয়েছে। তবে চাঁপাপুকুরে উত্তেজনা ছড়ায়। জড়ো হয় বহিরাগতেরা। তাদের কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে হঠিয়ে দেয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বসিরহাট শহর ফের উত্তপ্ত হওয়ার পরে ভাঙচুর হয়েছিল বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসের বাড়ি। অভিযোগ ওঠে, গোলমালে মদতদাতারা তাঁর ঘনিষ্ঠ এবং তাঁদের বাঁচাতেই তিনি থানায় গিয়েছিলেন। থানা থেকে ফেরার পথে দীপেন্দুর গাড়ি ঘেরাও করা হয়। এর পর পুলিশ শহরের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ধরপাকড় শুরু করে। অভিযোগ, বেছে বেছে এক পক্ষকেই ধরা হচ্ছিল। ফলে সকালে শান্ত থাকলেও বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে বসিরহাট। শোনা যায়, বেগতিক বুঝে র্যাফের গাড়িতে শহর ছেড়েছেন দীপেন্দু।
দীপেন্দু অবশ্য এ দিন দাবি করেন, তিনি মোটেই এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে আসেননি। তিনি জেলা শাসকের কনভয়ের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন। কিছু লোক তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ রটাচ্ছে বলে দাবি তৃণমূল বিধায়কের।
দলের তরফে বসিরহাটের দায়িত্ব অসিত মজুমদারকে দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানা গিয়েছিল। তেমন কোনও খবর তিনি জানেন না বলে দাবি করেছিলেন দীপেন্দু। তৃণমূলের শীর্ষ সূত্র এ দিন জানিয়েছে, বসিরহাট বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় দলের একটি কমিটি গড়া হচ্ছে। তার চেয়ারম্যান হবেন অসিত মজুমদার। দীপেন্দু হবেন ভাইস চেয়ারম্যান।